কাবিখার চাল কালোবাজারে বিক্রির মামলা: মনিরামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা বাচ্চু চক্রবর্তী কারাগারে

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে যশোরের মণিরামপুরের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুকে। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) চাল কালোবাজারে বিক্রির আলোচিত একটি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি তিনি। পাবলিক প্রসিকিউর ইদ্রিস আলী জানান, গতকাল রবিবার সকাল ১১ টার দিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন উত্তম চক্রবর্তী। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল মনিরামপুর থানা পুলিশের তৎকালীন এসআই তপন কুমার সিংহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিজয়রামপুর বেলতলার মেসার্স ভাই ভাই রাইস মিল অ্যান্ড চাতালে অভিযান চালিয়ে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির ৫৪৯ বস্তা চাল উদ্ধার করেন। এ সময় মিল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ট্রাকচালক (ওই ট্রাকে করে কালোবাজারে বিক্রি করা চাল আনা হয়) ফরিদ হাওলাদারকে আটক করা হয়। পরে এ ঘটনায় এসআই তপন কুমার সিংহ আটক দুজনের বিরুদ্ধে কালোবাজারির উদ্দেশ্যে চাল মজুদ সহায়তা করার অপরাধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১)/২৫-ডি ধারায় মনিরামপুর থানায় একটি মামলা করেন। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের দেয়া জবানবন্দি থেকে ঘটনার সাথে জড়িত জগদীশ দাসসহ আরো দুজনের নাম প্রকাশ পায়। মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ পরে জগদীশ দাসসহ উল্লিখিত দুজনকে আটক করলে তারাও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তাদের জবানবন্দি থেকে এ ঘটনার সাথে জড়িত হিসেবে মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুসহ আরো দুজনের নাম প্রকাশ পায়। এরপর তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে এবং উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ছাড়া অপর অভিযুক্তরা হলেন মনিরামপুর উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের একুব্বর মোড়লের ছেলে কুদ্দুস, রবিন দাসের ছেলে জগদীশ দাস, তাহেরপুর গ্রামের মৃত সোলাইমান মোড়লের ছেলে শহিদুল ইসলাম, বিজয়রামপুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে রাইস মিলের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা গ্রামের রতন হাওলাদারের ছেলে ট্রাকচালক ফরিদ হাওলাদার। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ৫৪৯ বস্তা চাল ত্রাণের। ওই চাল উত্তম কুমার চক্রবর্তী বাচ্চু বেশি মুনাফার লোভে কালোবাজারে বিক্রি করে দেন। যার মূল্য ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।