আন্তজাতিক সংবাদ

0

বদলে গেল মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের নাম
লোকসমাজ ডেস্ক॥ সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অফিস অব স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল করা হয়েছে। শনিবার মিয়ানমারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের ইস্যু করা এক আদেশে এ কথা বলা হয়েছে। খবর: বাসস। এছাড়া ইউনিয়ন গর্ভমেন্ট অফিসের নাম পরিবর্তন করে অফিস অব স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল রাখা হয়েছে। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রেস টিম গঠন করেছে। এর নেতৃত্বে রয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিনতুন। গত সোমবার নতুন পার্লামেন্ট অধিবেশনের প্রাক্কালে দেশটির গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চিসহ ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি- এনএলডি’র সিনিয়র নেতারদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে রাষ্ট্রীয় মতা প্রতিরা বিভাগের কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হাইংয়ের ওপর ন্যস্ত করা হয়। এর পর প্রতিরা বিভাগের কমান্ডার-ইন-চিফ কার্যালয় সম্প্রতি স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল গঠন করে। নবগঠিত স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনার ল্েয ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশনও সংস্কার করেছে। দেশটির সামরিক বাহিনী নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছে। এছাড়া জরুরি অবস্থা জারির পর কেবিনেটেও বড় ধরণের রদবদল করা হয়। এদিকে, এনএলডি পার্টি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি, ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়াসহ নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশনের আহ্বান জানিয়েছে।

সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভ
লোকসমাজ ডেস্ক॥ মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দেশটির প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় বিােভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। শনিবার মতাচ্যুত নেতা অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই বিােভ অনুষ্ঠিত হয়। বিােভকারীরা ‘সামরিক স্বৈরাচার ব্যর্থ হোক, গণতন্ত্রের জয় হোক’ স্লোগান দেয়। ‘সামরিক একনায়কের বিরুদ্ধে’ লেখা ব্যানার বহনের সাথে সাথে সু চির দল এনএলডির প্রতীক লাল পোশাক পরে বিােভকারীরা সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নেয়। এর আগে সোমবার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, তাতমাদাও দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বেসামরিক প্রশাসনের সাথে সামরিক বাহিনীর কয়েক দিনের দ্বন্দ্বের পর এই অভ্যুত্থান ঘটে। ওই নির্বাচনে সুচির নেতৃত্বের ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) জয় লাভ করে, যা তাতমাদাও অস্বীকার করেছে। শনিবারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওচিত্রে পুলিশের ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন রোড ও হেদান জংশনের সংযোগ সড়কে বন্ধ করে দিতে দেখা যায়। বিােভকারীরা তিন আঙ্গুলের প্রতিবাদী চিহ্ন উঁচিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিােভ করে। পাশাপাশি প্রাইভেট কার ও পাবলিক বাসের ড্রাইভাররা হর্ন বাজিয়ে বিােভের সাথে সংহতি প্রকাশ করে। বিােভ নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে সামরিক জান্তা মিয়ানমারে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে।

দেড় বছর কাশ্মীরে ফিরল ফোর-জি পরিষেবা
লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে প্রায় ১৮ মাসের দীর্ঘ অপোর পর চালু হলো ইন্টারনেটের ফোর-জি পরিষেবা। শুক্রবার রাতে কাশ্মীরের বিদ্যুৎ ও তথ্য দপ্তরের প্রধান সচিব রোহিত কনসাল টুইট করে এ খবর জানান। খবর: এই সময়। তিনি লিখেন, জম্মু ও কাশ্মীরের সর্বত্র ফোর-জি পরিষেবা চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপরেই কংগ্রেস নেতা ওমর আবদুল্লাহ টুইটারে লিখেছেন, ‘ফোর-জি মোবারক! ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের পর এই প্রথম কাশ্মীরের সব মানুষ ফোর-জি ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। একেবারেই না হওয়ার থেকে দেরি করে হওয়া ভালো।’ উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের রাজ্য ও সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই ফোর-জি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। লম্বা সময় ধরে দ্রুতগতির ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় করোনাকালে সমস্যায় পড়েছিলেন ভূস্বর্গের শিার্থীরা। টু-জি স্পিডে লকডাউন পর্বে অনলাইন কাস করতে না পেরে পিছিয়ে পড়েন তারা। বিশ্বের ইতিহাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের ঘটনা ঘটেছে কেবল মিয়ানমারে। ১৯ মাস ধরে সে দেশের একটি অংশে পরিষেবা বন্ধ ছিল।

আইসিসি’র বিচারিক এখতিয়ারে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, নেতানিয়াহুর ােভ
লোকসমাজ ডেস্ক॥ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতার বিচার করার এখতিয়ার রয়েছে বলে শুক্রবার এক রায়ে ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-আইসিসি। এ রায়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক এই আদালতের ফৌজদারি তদন্ত চালানোর পথ উন্মুক্ত হয়েছে। খবর: বিবিসি। এর আগে আদালতের প্রসিকিউটর ফাতৌ বেনসৌদা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সেখানে (ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে) যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা ‘বিশ্বাস করার যৌক্তিক ভিত্তি’ রয়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক আদালতের এ ঘোষণার কড়া সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে এ ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিতায়েহকে উদ্ধৃত করে দেশটির বার্তা সংস্থা ওয়াফা বলেছে, ‘(আইসিসি’র) এই সিদ্ধান্ত ন্যায়বিচার ও মানবতা, সত্যের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা এবং শহীদদের রক্ত ও তাদের পরিবারের জন্য এক বিজয়।’ ইসরায়েল আইসিসি’র সদস্য নয়। দেশটি এই বিচারিক এখতিয়ার প্রত্যাখ্যান করেছে। আন্তর্জাতিক বিচারিক সংস্থাটিকে ‘রাজনৈতিক সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে এর বিচার থেকে নিজেদের ‘সব নাগরিক ও সেনাকে রা করার’ অঙ্গীকার করেছে। নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আদালতের এই সিদ্ধান্তে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তার নাগরিকদের রা করার অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করবে।’ উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে এই অপরাধ বিচারে আইসিসির ভূমিকা প্রত্যাখ্যান করে আসছে ইহুদিবাদী দেশটি।