তীব্র মন্দা কাটিয়ে উঠছে ফ্রান্স ও জার্মানির অর্থনীতি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত বছর জার্মানি এবং ফ্রান্স দুই দেশই তীব্র মন্দার ভেতর দিয়ে গেছে। তবে বছরের শেষদিকে গিয়ে কিছুটা উন্নতির দিকে যেতে শুরু করে দেশ দুটির অর্থনীতি। যেখানে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন তাদের অর্থনীতির ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি। গত শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস।
অর্থনীতিবিদরা অবশ্য সতর্ক করে বলেছেন, এ বছর ইউরোপের বৃহত্তম এ দুই অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত পুনরুদ্ধার ব্যাহত হতে পারে ভাইরাসের নতুন রূপের কারণে। এছাড়া স্বল্পতার কারণে ভ্যাকসিন বিতরণ নিয়ে সৃষ্ট সংকটও এক্ষেত্রে নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
গত বছর ফ্রান্সে দুই ধাপের লকডাউনে বহু ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে দেশটির অর্থনীতি সংকোচিত হয়েছে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু এর পরও সামগ্রিক সংকোচন প্রত্যাশার তুলনায় কমই দেখা গেছে। বিশেষত অক্টোবর থেকে সামনে আসা দ্বিতীয় লকডাউনের সময় বিধিনিষেধের তীব্রতা আগের চেয়ে কমিয়ে দেয়া হয়। সে সময় বিধিনিষেধগুলো কেবল রেস্টুরেন্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে সীমাবদ্ধ রাখা হয়। যার ফলে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ধাক্কাগুলো কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয় সরকারগুলো। চতুর্থ প্রান্তিকে আগের বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছিল ১ দশমিক ৩ শতাংশ। যেখানে অনেক অর্থনীতিবিদ ৪ শতাংশ সংকোচনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
জার্মানির অর্থনীতিতে তৃতীয় প্রান্তিকের চেয়ে চতুর্থ প্রান্তিকে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। বছরের শুরুতে আসা দেশটির অর্থনীতিতে যে ধাক্কা এসেছিল, তা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। সব মিলিয়ে গত বছর জার্মানির অর্থনীতিতে সংকোচন দেখা গেছে ৫ শতাংশ।
তবে ডাচ ব্যাংক আইএনজির মতে, এটি ২০০৯ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর সবচেয়ে বড় সংকট। কিন্তু তার পরও এটি শুরুতে সবাই যেমনটা আশঙ্কা করছিল তার চেয়ে ভালো।