যশোরে মাঘের কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে গতকাল রোববার শীত মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীত মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা। আর পাশের জেলা চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ অঞ্চলের ওপর মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী আরও দু’দিন থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে। যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটিতে অবস্থিত আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ছয়টায় যশোর জেলায় সবনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি শীত মৌসুমে এ জেলায় সবনি¤œ তাপমাত্রা। এর আগে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা জেলায় ৮ ডিগ্রির উপরে রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়া অফিসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গত কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চল দিয়ে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী আরও দু’দিন থাকতে পারে। এরপর অর্থাৎ বুধবার থেকে তাপমাত্রার পারদ একটু উপরে উঠতে পারে। তিনি বলেন, রোববার কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি শীত মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা। আবহাওয়াবিদরা জানান, চলতি মৌসুমের মধ্যে রোববার প্রথমবারের মতো এতো বেশি অঞ্চল শৈত্যপ্রবাহের কবলে এবং এতো সংখ্যক অঞ্চলের তাপমাত্রা সবচেয়ে কম রেকর্ড হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া অন্য অঞ্চলগুলোয় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রাজশাহীতে ৫.৭, ইশ্বরদীতে ৬.২, বগুড়ায় ৭.৭, বদলগাছীতে ৬.৫, তাড়াশে ৯, রংপুরে ৭.২, দিনাজপুরে ৭.৩, তেঁতুলিয়ায় ৭.৫, ডিমলায় ৭, খুলনায় ১০, চুয়াডাঙ্গায় ৬.২, কুমারখালীতে ৮.৫, বরিশালে ৯.৪, ভোলায় ৯.৬, শ্রীমঙ্গলে ৭.৭, ময়মনসিংহে ৯.৫, নেত্রকোনায় ৯.৬, নিকলিতে ১০, গোপালগঞ্জে ৮.৩, মাদারীপুরে ৯.৪, ফরিদপুরে ৮.৯ এবং টাঙ্গাইলে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে মাঘের কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যশোরের জনজীবন। কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে এ অঞ্চলে। আর তাতে বেকায়দায় পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের তাগিদে সকাল থেকে বের হওয়া বিভিন্ন পেশার মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। খড়কুটো জালিয়ে অনেকে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। দ্রুত তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় এর বড় প্রভাব পড়ছে জনজীবনের ওপর। সকাল থেকে প্রায় দুপুর পর্যন্ত এ অঞ্চলে সূর্য দেখা যাচ্ছে খুব অল্প সময়ের জন্য। কুয়াশার পাশাপাশি তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। শীতের পোশাক না থাকায় নি¤œ আয়ের মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। কর্মজীবী ও হতদরিদ্ররা বলেন, আমরা ভীষন কষ্টে আছি। শীতের কারণে ঘর থেকে বের হওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। তারপরও জীবিকার তাগিদে বের হতে হচ্ছে। রিকশাচালক জমির হোসেন বলেন, গত বছর শহরে বিভিন্ন এলাকায় গরীব মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করতে দেখা যায়। কিন্তু এ বছর কোথাও তা দেখা যাচ্ছে না। আবুল কালাম নামে এক ভাটাশ্রমিক বলেন, সকালে বাড়ি থেকে হালকা কাপড় পরে বের হয়েছি। বাইরে এসে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে যাচ্ছি।