শালিখায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, কষ্টে হতদরিদ্র মানুষ

0

আড়পাড়া (মাগুরা) সংবাদদাতা ॥ ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মাগুরার শালিখা উপজেলার জনজীবন। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন খুব একটা বাড়ির বাইরে হচ্ছে না। ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। গত কয়েকদিন ধরে শালিখা উপজেলায় ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশা বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় শীতের প্রকোপ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। গ্রামের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। গ্রাম্য বাজারে লোকজনের চলাচল অনেকটা কমে গেছে। শালিখার আড়পাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ ধরেই এখানকার মানুষ শীত অনুভব করছে। তবে গত দু’দিন থেকে হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এলাকার বেশিরভাগই খেটে খাওয়া মানুষ। তারা শীতে একরকম ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রায় বাড়িতেই গরম কাপড়ের অভাব। সরকারিভাবেও শীতবস্ত্র দেওয়া হচ্ছে না। খড়কুটা জ¦ালিয়ে মানুষ শীত নেবারণের চেষ্টা করছে। চুকিনগর খালপাড় গ্রামের বাসিন্দা কাশেম আলী বলেন, ‘হাড়কাঁপানো শীত পড়ছে। আমার পরিবারের সকলেই শীতে কষ্টে আছে। আমরা খড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি।’ গড়াপাড়া গ্রামের কিতান্ত রায় বলেন, এখন বোরো মৌসুম। শীত বেড়ে যাওয়ায় বীজতলা তৈরি ও জমি চাষাবাদ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত রোগও বাড়ছে। আড়পাড়া গ্রামের ট্রাক ড্রাইভার রকিমুল মোল্যা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গাড়িতে হেডলাইট জ্বালিয়ে খুব ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক গৌরব ব্যানার্জী জানান, ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে অনেকে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এর মধ্যে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি। আড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আরজ আলী বিশ্বাস বলেন, সরকার থেকে যে কম্বল এসেছে তা ইতোমধ্যে হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আরো কিছু কম্বল বিতরণ করা দরকার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মো. বাতেন জানান, শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে কম্বল এসেছে। শালিখা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নেই তা বিতরণ করা হয়েছে।