শৈত্যপ্রবাহে আবারও বাড়লো ভোজ্যতেলেরদাম ! সরবরাহ পর্যাপ্ত তবুও চালের দাম বেশি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আবারও ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এদিকে মিল মালিক ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ানোর পরে আর কমাননি। এখনও বাজারে অস্বাভাবিক দাম বিরাজ করছে। বাজারে খামারি মুরগির দাম প্রতি সপ্তাহে ৫ থেকে ১০ টাকা ওঠানামা করছে। মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম খুব একটা সন্তোষজনক পর্যায়ে নেই। অন্যদিকে সবজির যোগান পর্যাপ্ত থাকায় দামও স্থিতিশীল রয়েছে। যশোর বড় বাজার ঘুরে গতকাল শুক্রবার দেখা গেছে, ভোজ্যতেলের দাম আবারও বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা, সুপার সয়াবিন তেল ১১২, পাম সয়াবিন তেল ১০৮ ও সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। অথচ গত সপ্তাহে বাজারে বিক্রি হচ্ছিল সয়াবিন তেল ১২০ টাকা, সুপার ১১০ টাকা, পাম ১০২ টাকা দরে। বাজার করতে আসা মঈন গাজী বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভোজ্যতেলের দাম প্রতি কেজিতে ৫/৬ টাকা বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না। শীত একটু বেশি পড়লে সয়াবিন তেলে পাম তেল ভেজাল না দেয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে বাজারে চালের দাম মিল মালিক ও সিন্ডিকেটের যোগসাজশে বাড়ানোর পরে আর কমাননি। গতকাল বড় বাজার চাল বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি মানভেদে ৪০ থেকে ৪২ টাকা, কাজললতা চাল মানভেদে ৪৬ থেকে ৫২ টাকা,বিআর-২৮ চাল মানভেদে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট চাল মানভেদে ৫৬ থেকে ৫৭ টাকা, বাংলামতি চাল মানভেদে ৬০ থেকে ৬২ টাকা আর কাটারি চাল মানভেদে ৫৪ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগেও বাজারে মুরগির দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্ত এখন প্রায়ই দাম ওঠানামা করতে দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার বড় বাজারে খামারি ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালী মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩৬০ টাকায়। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, ছাগীর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা ও গরুর মাংস ৫৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। বড় বাজার মাছ বাজারে শীতকালীন নানা ধরনের মাছের সরবরাহ যথেষ্ঠ পরিমাণে থাকলেও দাম খুব একটা সহনীয় নয়। শুক্রবার বাজারে দেখা যায় প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০/৮৫০ টাকা, ৫শ গ্রাম/৬শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৬৫০/৭০০ টাকা, ৪ পিস কেজি ইলিশের দাম ২৬০ টাকা, এক কেজি দেশি রুই ২৫০ টাকা, এক কেজি কাতল মাছ ১৮০ টাকা, দেশি কৈ মাছ ১০/১২ পিস কেজি ৮০০ টাকা, দেশি শিং মাছ ১৮/২০ পিস কেজি ৮০০ টাকা, দেশি মাগুর মাছ ৪/৫ পিস কেজি ৭০০/৮০০ টাকা, চষের মাগুর মাছ ৪ পিস কেজি ৩০০ টাকা, চাষের শিং মাছ ১২/১৪ পিস কেজি ৪০০ টাকা, ১০ পিস গলদা চিংড়ি মাছের কেজি ৭০০ টাকা, একজি শোল মাছ ৬০০ টাকা, ৭/৮ পিস পারশে মাছ ৬০০ টাকা, ৩ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ মাছের কেজি ১৫০ টাকা ও ২পিস কেজি তেলাপিয়া মাছ ১০০/১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বড় বাজারে শীতকালীন সবজি ভরপুর থাকায় দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। শুক্রবার বাজারে বাঁধাকপি প্রতি কেজি ৫/৭ টাকা, শিম ১৫/২০ টাকা, পালংশাক ১০/১৫ টাকা, ফুলকপি ১৫/২০ টাকা, ওলকপি ১০/১৫ টাকা, বেগুন ২০/২৫ টাকা, পেঁয়াজের কালি ১৫/২০ টাকা, শসা ২৫/৩০ টাকা, গাজর ২০/২৫ টাকা, কাঁচকলা ১৫/২০ টাকা, বিটকপি ২৫/৩০ টাকা, পেঁপে ২০/২৫ টাকা,কুমড়ো ২৫/৩০ টাকা, লাউ প্রতিটি ২৫/৩০ টাকা ও ব্রুকলি প্রতি কেজি ২০/২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।