মহেশপুরে ৪৩জন মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাই বাছাই করার নির্দেশ

0

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা ॥ মহেশপুর উপজেলার ৪৩জন মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাই বাছাই করার জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা জানান যে সব মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাই বাছাই করার জন্য পত্র পাঠানো হয়েছে। যাদের নাম পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে ৮/৯জন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা হয়েছে বলে মহেশপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা মনে করেন। যাদেরকে অ-মুক্তিযোদ্ধা বলে যাচাই বাছাই করতে চিঠি দেয়া হয়েছে তার মধ্যে একজন শহীদ মুক্তি যোদ্ধাও রয়েছেন। মহেশপুরে মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমানকে সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাশ্বতী শীলকে সদস্য সচিব করে যাচাই বাছাই কমিটি করা হয়েছে। আজ শনিবার তারা প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
যেসব মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাই বাছাই করতে বলা হয়েছে তারা হলেন, শ্যামকুড়ের সুফিয়ান,নাটিমার খলিলুর রহমান,একই গ্রামের শামসুর হক,মহেশপুরের মসলেম উদ্দিন,ফতেপুরের মোতালেব,মান্দারবাড়ীয়ার সানোয়ার রহমান,একই গ্রামের সদ্দোকুর রহমান,জি পান্তাপাড়ার মোজাম্মেল হক,রফিউদ্দিন, খায়রুল আলম,গোলাম মোস্তাফা, শামসুল হক,মনিরুল ইসলাম,মাহফুজুর রহমান,আবুল হোসেন, মনু মিয়া,হামিদপুরের আসমত আলী,ভাবদিয়ার নুরুল ইসলাম,ভৈরবার আব্দুল লতিফ,সামন্তার বছির আহমেদ,গয়েশপুরের শাহেদ আলী, গোকুল নগরের আব্দুল হক,ডাকাতিয়ার আনছার আলী, শ্যমকুড়ের শাহজান আলী, গুড়দাহ আয়াত আলী, ভালাইপুরের এজাজ উদ্দিন,মান্দারবাড়ীয়ার আব্দুল মালেক,গয়েশপুরের ইদ্রিস আলী,কেশবপুরের আমির হোসেন, শ্যামকুড়ের অহির উদ্দিন, সুন্দরপুরের চাঁন মিয়া, যাদবপুরের আফসার আলী, হাবাসপুরের মতিউর রহমান, মহেশপুরের আবু বকর, ফতেপুরের লোকমান হোসেন, বেড়েরমাঠের আঃ রব, স্বরুপপুরের আব্দুল মালেক, লক্ষিপুরের গিয়াস উদ্দিন, বজরাপুরের তৈয়ব আলী, ফতেপুরের মফিজ উদ্দিন, গকুলনগরের আলী আহম্মদ ও শ্যামকুড়ের আব্দুস সাত্তার। এ ব্যাপারে যুদ্ধকালীন সময়ের গ্রুপ কমান্ডার ও মহেশপুর উপজেলার সাবেক কমান্ডার আবু তালেব জানান, ২০০৪সাল থেকে ২০১৪সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট করা হয়েছে। যে ৪৩জনের নাম এসেছে যাচাই বাছাই করার জন্য তার মধ্যে ৮/৯জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তারপরও যাদের নাম দেয়া হয়েছে তারা তো মুক্তি বার্তা ও ভারতীয় বার্তায় নাম আছে । তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন এদেশে রাজাকারের তালিকার মধ্যে ১২শ মুক্তিযোদ্ধার নাম ঢুকিয়ে তাদেরকে অপমান করা হয়েছে। মহেশপুরে যাদেরকে অমুক্তিযোদ্ধা বলা হচ্ছে আমি বলবো এটা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ভুল।