চৌগাছা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাবেক ছাত্রনেতা সোহরাব আর নেই : অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ নেতৃবৃন্দের শোক

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, সোহরাব হোসেন (৪৮) আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। গত মঙ্গলবার রাত ২ টা ১৫ মিনিটের দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৌর এলাকার পাঁচনামনা গ্রামের নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি পাঁচনামনা গ্রামের মৃত বোরাক আলীর বড় ছেলে। মৃত্যুকালে মা, ভাই, বোন ও দুই ছেলে মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সোহরাব হোসেনের মৃত্যুতে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগমসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
৯০ দশকের সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সাহসী এ নেতার মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়লে দীর্ঘ দিনের রাজনীতি সহযোদ্ধা, বড় ভাইসহ সর্বস্তরের মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যশোর জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীসহ পাশ^বর্তী ঝিকরগাছা, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর উপজেলার বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রয়াত সোহরারেব বাড়িতে ছুটে আসেন এবং শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান। বুধবার বাদ আছর চৌগাছার সরকারি শাহাদৎ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে পিতার কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হন। জানাজা নামাজ পরিচালনা করেন পাঁচনামনা জামে মসজিদের ইমাম মাও. আব্দুল খালেক। জানাজায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড, সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাবেক পৌর মেয়র অ্যাড, মো. ইসাহক, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খাঁন, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম মারুফ, সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ সিদ্দিকি বাচ্চু, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মতুর্জা এলাহি টিপু, মহেশপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুল হক বাবু, চৌগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড.এম মোস্তানিছুর রহমান, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক ইউনুচ আলী, এমএ সালাম, আতাউর রহমান লাল, পৌর বিএনপির আহবায়ক সাবেক মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ার, যুগ্ম আহবায়ক হাজী আব্দুল হালিম চঞ্চল, চৌগাছা পৌর মেয়র নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাসুদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম সাইফুর রহমান বাবুল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ শহিদুল বারী রবু, অ্যাড. আবু মুরাদ, হাবিবুল ইসলাম কচি, বিএনপি নেতা মাসুদুল হাসান, মোবারক হোসেন, জামায়াত নেতা গোলাম মোর্শেদ, মাস্টার কামাল আহমেদ, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন বাবু, উপজেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ. মান্নান, সাবেক ছাত্রনেতা সালাউদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং নানা শ্রেণি পেশার হাজারও মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। নিহতের ছোট ভাই সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জানান, প্রতি দিনের মতো মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে তার বড় ভাই ঘুমাতে যান। রাত আনুমানিক ২ টার দিকে তার ঘর হতে শব্দ বের হওয়ায় আমরা দ্রুত ঘরে ছুটে যাই। এ সময় দেখি তিনি খাটের উপর বমি করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। অচেতন অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, সোহরাব হোসেন হাইস্কুল জীবন থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৯১ সালে এসএসসি পাশ করে ভর্তি হন চৌগাছা সরকারি কলেজে। সেখান থেকে এইচএসসি ও বিএ পাশ করে একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় হতে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেও তিনি কোন চাকরির সন্ধান না করে এক প্রকার রাজনীতিই তার পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। এর পাশাপাশি এই নেতা একজন ঠিকাদারি ব্যবসায় করতেন। সোহরাব হোসেনের একাধিক রাজনৈতিক সহকর্মীরা জানান, ঠিকাদার ছিলেন। বর্তমান সরকারের শাসনামলে একাধিক মামলার আসামি হয়ে অসংখ্যবার কারাগারে থেকেছেন।