বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৫০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে এসে পৌছেছে। প্রথম ধাপে পাওয়া এই টিকা দুই একদিনে মধ্যে সকল জেলায় পাঠানো হবে। এই ধাপে বাগেরহাট জেলায় ৪ হাজার ৮শ ভায়াল (বোতল) টিকা পাঠানো হবে। যা দিয়ে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে। টিকা সংরণ ও দেয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে প্রথম ধাপে বাগেরহাট জেলায় ৪ হাজার ৮শ ভায়াল টিকা পাঠানো হবে। এই টিকা জেলা শহর ও উপজেলাগুলোতে সরবরাহ করা হবে। এই টিকা সংরণের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউটের এই টিকা ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় আইএলআর ফ্রিজে সংরণ করা যাবে। বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের সাড়ে সাত লাখ ডোজ টিকা রাখার সমতা রয়েছে।’
সিভিল সার্জন আরও বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম ধাপে সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, পুলিশ সদস্য, পয়নিষ্কাশনকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের করোনা টিকা প্রদান করা হবে। বাগেরহাট জেলায় এই ধরনের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো ছক অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে তালিকা তৈরি শুরু করেছি। দুই একদিনের মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। টিকা প্রদানের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ৮টি, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ১টি, ৮টি উপজেলায় ২টি করে, ৭৫টি ইউনিয়নে একটি করে মোট ১শটি টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে টিকাদানে অভিজ্ঞ ২জন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক রয়েনে। এছাড়া টিকা গ্রহণের পরে তাৎণিক কোনো সমস্যা হলে সমাধানের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট অ্যাডভান্স ইভেন্টস ফলোয়িং ইমুউনাইজেশন ম্যানেজমেন্ট (এইএফআই) টিম গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির লোকদের দুই একদিনের মধ্যে প্রশিণ দেয়া হবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমধাপের টিকাগুলো হাসপাতালে দেওয়া হবে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির।