বাজারে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক যোগান বাড়ছে নতুন পেঁয়াজের

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। আগামী ৮/১০ দিনের মধ্যে আমদানি স্বাভাবিক হয়ে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে বলে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন। এদিকে যশোর অঞ্চলের কৃষকের নতুন আলু বাজারে আসতে এখনও মাসখানেক দেরি আছে। তবে উত্তরবঙ্গের নতুন আলু যশোরে প্রতিদিনই আসছে। বাজারে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দামও স্থিতিশীল রয়েছে। যশোরের বড় বাজারে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ প্রায় প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে। গতকাল শুক্রবার খুচরা দোকানে প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে, আর পুরনো পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা। নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫/৫০ টাকা, আর পুরনো আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা। এইচ এম এম রোড কালীবাড়ি এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ী ‘জম জম বাণিজ্য ভাণ্ডার’ এর অন্যতম স্বত্বাধিকারী মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ নতুন আসতে শুরু করেছে। চাষিরা চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া থেকে সরাসরি পেঁয়াজ নিয়ে যশোর মোকামে আসছেন। তিনি শুক্রবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি ৩৮/৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তিনি আশা করছেন বড় বাজারে আগামী ৮/১০ দিনের মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়বে এবং দামও আরও কমে আসবে। একই বাজারের আরেক আড়তদার ‘নিতাই গৌর ভাণ্ডার’ এর অন্যতম স্বত্বাধিকারী বাগান চন্দ্র সাহা ও ‘নিউ মদিনা ভাণ্ডার’ এর স্বত্বাধিকারী মো. জিয়া বলেন, যশোর অঞ্চলের নতুন আলু বাজারে আসতে এখনও মাসখানেক সময় লাগবে। বর্তমানে উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর, ঠাকুগাঁও ও নীলফামারি থেকে নতুন আলু বড় বাজারে আসছে। তারা শুক্রবার নতুন আলু ৪০/৪২ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করেছেন। রসুন বিক্রি করেছেন ৭৫/৮০ টাকা ও আদা বিক্রি করেছেন ৪৫ টাকা কেজি দরে।
এদিকে শুক্রবার বাজারে সবজির যোগান স্বাভাবিক দেখা গেছে। এদিন খুচরা দোকানে প্রতি কেজি ফুলকপি ১৫/২০ টাকা, বাঁধাকপি ১০/১৫ টাকা, সাদা বেগুন ১৫ টাকা, কাঁটা বেগুন ২৫/৩০ টাকা, ওলকপি ২০ টাকা, মুলো ১০/১৫ টাকা, পালংশাক ১৫/২০ টাকা, শিম ২০ টাকা, পেঁপে ২০/২৫ টাকা, কচুরলতি ২৫/৩০ টাকা, উচ্ছে ৩০/৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০/৪০ টাকা, কাঁচকলা ২৫/৩০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৩০/৪০ টাকা, কুমড়ো ৩০ টাকা, মানকচু ৩০/৪০ টাকা, লাউশাক ২০/২৫ টাকা, গাজর ৩০/৪০ টাকা, শসা ৫০/৬০ টাকা, টমেটো ৬০/৭০ টাকা, বিটকপি ৫০/৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এইচ এম এম রোডের কাঁচামালের আড়তদার ‘আরিফ ভাণ্ডার’ এর অন্যতম স্বত্বাধিকারী শাহাবুদ্দিন মাতব্বর বলেন, বর্তমানে যশোরের বাজারে সবজির আমদানি হচ্ছে প্রচুর। বেশ কিছু সবজির দাম এত পরিমাণে কমে গেছে যে, চাষিরা বিক্রয়লব্ধ টাকায় তাদের ফসল তোলা ও পরিবহন খরচ পর্যন্ত উঠাতে পারছে না। তিনি শুক্রবার তাঁর আড়তে ফুলকপি পাইকারি প্রতি কেজি ৫ টাকা, বেগুন ৭ টাকা, বাঁধাকপি ৫ টাকা, পেঁপে ৮ টাকা, মুলো ৩ টাকা ওলকপি ৭ টাকা, শিম ১৩/১৫ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ১৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।