প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় নিশ্চিত হচ্ছে কমপ্লায়েন্স

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রত্যন্ত অঞ্চলের কটেজ, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রশিল্প এবং কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা প্রদান করছে এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌঁছাতে প্রথাগত শাখানির্ভর ব্যাংকিং ধারণা থেকে বের হয়ে ব্যাংকটি প্রযুক্তিনির্ভর উপশাখা সেবা চালু করেছে। ব্যাংকটির মূল লক্ষ্য অফলাইন থেকে সম্পূর্ণ ডিজিটাইলজড অনলাইন সেবা চালু। এতে ব্যাংকের করপোরেট সুশাসন ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা সহজ হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনআরবিসি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল, পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান এ এম সাইদুর রহমান, উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুখতার হোসেন, অতিরিক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. তালহা, আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান কবীর আহমেদ ও চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার হারুনুর রশিদসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বলা হয়, চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের ঋণ দিচ্ছে। বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থা এনজিওর মাধ্যমে এই ঋণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া মানুষের সেবা প্রদানকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বুথ ও উপশাখা স্থাপন করছে ব্যাংকটি। ইতোমধ্যে দেশের ৫৫০টি পয়েন্টে এনআরবিসি ব্যাংক কার্যক্রম চালাচ্ছে। এছাড়া গত তিন বছরে ব্যাংকটি আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণসহ আর্থিক সূচকগুলোতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, প্রবাসীদের স্বপ্নের ব্যাংক এনআরবিসি। ব্যাংকটির মূল লক্ষ মানুষের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা প্রদান করা। ইতোমধ্যে সারাদেশে ৩৬৭টি উপশাখা চালু করা হয়েছে, যার ৯০ শতাংশ গ্রামে অবস্থিত। গরিব মানুষের সহযোগিতায় ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া হচ্ছে। ব্যাংকিং সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিআরটিএ লাইসেন্স, ইটিআইএন, অনলাইন জমি রেজিস্ট্রেশন অর্থ আদায় কার্যক্রমে চতুর্থ প্রজম্মের এনআরবিসি ব্যাংক বছরে প্রায় ৭৪ লাখ মানুষকে সেবা প্রদান করছে। এছাড়া বিদেশি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে আজ অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট উদ্ধোধন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাংকটিকে আইটি নির্ভর করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে ই-কেওয়াইসিসহ, ঋণ প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়েছে। আমরা রিয়েল টাইম সেবা দিয়ে যাচ্ছি এবং আগামীতে আরও সহজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অফলাইন থেকে ব্যাংকিং সেবা অনলাইনে নেয়া হচ্ছে। এতে ব্যাংকে করপোরেট সুশাসন ও কমপ্লায়েন্স পরিপালন সহজ হবে। আমাদের প্রধান কাজ জনগণের আমানতের সুরক্ষা, স্বচ্ছ বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগ থেকে আয় করে তা আমানতকারীদের মুনাফা হিসেবে প্রদান করা। এটির জন্য সবপর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
পারভেজ তমাল বলেন, দীর্ঘ এক যুগ পর প্রথম কোনো ব্যাংক পুঁজিবাজারে আসতে যাচ্ছে। আমরা বিনিয়োগকারীদের ১০ টাকা মূল্যমানে শেয়ার দিচ্ছি। কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি শেয়ারের বাজার মূল্য হবে প্রায় ১৫-১৬ টাকা। ফলে পুঁজিবাজারেও আমরা সফল হবো। চতুর্থ প্রজন্মের অন্যান্য ব্যাংকও চাইলে এভাবে পুঁজিবাজারে আসতে পারে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের ব্যাংকের উদ্দেশ্য ছিল প্রবাসীদের অর্থ দেশের বিনিয়োগে নিয়ে আসা ও রেমিট্যান্স বাড়ানো। কিন্তু আমাদের ব্যাংকের লাইসেন্স দেশের অন্যান্য তফসিলি ব্যাংকের মতো। ফলে প্রবাসীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা বাধার মুখে পড়ছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের এমডি মো. মুখতার হোসেন বলেন, করোনাকালে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া ব্যাংক নিজস্ব উদ্যোগেও ঋণ দিচ্ছে। করোনাকালে ২০২০ সালে অনেক কঠিন ছিল। তবে আগামী বছর কেমন হবে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বাড়তে পারে। তবে পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমরা সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছি।