চৌগাছায় ভিজিডি কার্ডে অনিয়মের অভিযোগে ডিজিটাল সেন্টারে তালা ইউপি সদস্যের

0

চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ যশোরের চৌগাছায় ভিজিডি কার্ডের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে তালা মেরেছেন এক ইউপি মেম্বার। গতকাল মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে চৌগাছা উপজেলার সিংহঝুলি ইউনিয়ন পরিষদে। বেলা ১১ টার দিকে পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে তালা মেরে দেন মেম্বার শহিদুল ইসলাম। এ সময় অন্য মেম্বাররাও সেখানে ছিলেন।
একাধিক সূত্র জানায়, ভিজিডি কার্ডের আওতায় চৌগাছার বিভিন্ন ইউনিয়নে নতুন করে হতদরিদ্র নারীদের তালিকা হচ্ছে। সিংহঝুলি ইউনিয়নে ১৯২ জন এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হবেন। পরিষদের এক সভায় ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিল বাদল ইউনিয়নের প্রত্যেক মেম্বারকে ৯/১০ জন করে বন্টন করে দেন। বাকিগুলো চেয়ারম্যান দেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক ইউনিয়নের ৪ নম্বর (জগন্নাথপুর) ওয়ার্ডের মেম্বার শহিদুল ইসলামকে ১০টি কার্ডের তালিকা দিতে বলা হয়। তিনি ১০ জনের তালিকা দিলেও চেয়ারম্যানের নির্দেশে সে তালিকা থেকে মাত্র ৩ জনের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়। বাদ পড়েন ৭ জন। একইভাবে মশিয়ূর নগর গ্রামের মেম্বার জামাল উদ্দিনকেও ১০ জনের তালিকা দিতে বলা হয়। তার তালিকা থেকে ৭ জনকে বাদ দেয়া হয়েছে। ইউনিয়নের প্রায় প্রত্যেক মেম্বারের তালিকা থেকে এভাবে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান নিজের পছন্দমত নারীদের তালিকা করেন। বিষয়টি নিয়ে গতকাল ইউপি মেম্বাররা চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা তালিকা উল্টোপাল্টা করেছেন। এ নিয়ে চেয়রম্যানের সাথে মেম্বারদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে ুব্ধ হয়ে মেম্বার শহিদুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে তালা মেরে দেন। অপর দু’জন ইউপি মেম্বার জানান, সম্প্রতি সরকারিভাবে দেয়া কম্বলও চেয়ারম্যান এভাবে নিজের মত করে বিতরণ করেছেন। তারা বলেন, ২০১৬ সালের ৪ জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি (চেয়ারম্যান)। এরপর থেকেই সমন্বয় না করে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করায় মেম্বাররা চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষুব্ধ। যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ডিজিটাল সেন্টারে তালা মারার ঘটনা ঘটলো। এদিকে মেম্বার শহিদুল ইসলাম তালা মারার বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ নিয়ে আমরা আলোচনায় বসবো। আলোচনা শেষে আপনাদের জানাবো।’ ইউপি মেম্বার জামাল হোসেন বলেন, ‘আমাকেও ১০টি নামের তালিকা দিতে বলা হয়েছিল। সেখান থেকে মাত্র ৩ জনের নাম অনলাইনভূক্ত হয়েছে। বাকী ৭ জন দুস্থ নারী বঞ্চিত হলেন। আমরা তাদের কাছ থেকে ছবি, আইডি কার্ড নিয়েছি। তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি কার্ড হবে। এখন যদি না হয় তাহলে আমাদের সম্মানটা কোথায় থাকলো? এ বিষয়ে ুব্ধ হয়েই মেম্বার শহিদুল ইসলাম তালা মেরে দিয়েছেন।’ এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিল বাদল বলেন, ‘ভিজিডি কার্ডের তালিকা করার সময় ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা একটু উল্টোপাল্টা করেছিল। তাই মেম্বারদের সাথে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়। আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে।’