খেলার খবর

0

সাড়ে ৮ মাস পর পুরোদমে অনুশীলনে মাশরাফী
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ইনজুরি কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। মঙ্গলবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি পুরো রান আপে বোলিংও করেছেন। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৮ মাস পার মাশরাফীকে এমন রূপে দেখা গেল। ৩৭ বছর বয়সী মাশরফী কিছুদিন আগেই হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন। তাই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ড্রাফটে ছিলেন না। ফিট হতে পারলে অবশ্য তার জন্য দরজা খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছিল বিসিবির প থেকে। তবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মাশরাফী কোনো দলের হয়ে খেলবেন কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। মাশরাফীর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদারের প।ে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘মাশরাফী করোনা থেকে সেরে ওঠার পর থেকেই নিজের ফিটনেস নিয়ে কাজ করছিলেন। ওজন কমিয়ে পুরো ফিট হতে চান তিনি। আমি এ ব্যাপারে তাকে সাহায্য করছি।’ তুষার কান্তি জানান, মাশরাফী এরই মধ্যে ১০ কেজি ওজন কমিয়েছেন। এদিন পুরো রানআপে ৪ ওভার বল করেছেন। মাশরাফী সবশেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন ১৬ মার্চ, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। শেখ জামাল ধানমন্ডি কাবের হয়ে খেলাঘরের বিপে ৭ ওভার বল করেন মাশরাফী। ৩৪ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি। মেডেন ওভার ছিল একটি। ব্যাট হাতে করেছিলেন ১ রান। তার আগে জিম্বাবুয়ের বিপে খেলেছেন সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ৬ মার্চ সিলেটে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে অবসরে যান মাশরাফী।

ভারতে নয়, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারে আরব আমিরাতে!
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ২০২১ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ভারতে। কিন্তু এ নিয়ে এখনো কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সিইও ওয়াসিম খান। একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাাৎকারে তিনি জানান, ভারতে করোনা পরিস্থিতির জন্য বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। যে কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে পারে বলে তিনি দাবি করেন। ওয়াসিম খান বলেন, এপ্রিলের আগে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব। প্রসঙ্গত ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এবং ২০২১ সালে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে ২০২০ বিশ্বকাপ স্থগিত হয়ে যায়। যা হবে ২০২২ সালে, অস্ট্রেলিয়ায়। আর ২০২১ বিশ্বকাপ ভারতেই হওয়ার কথা। ২০২৩ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপও ভারতে অনুষ্ঠিত হবে।

মন মানছে না জেমি ডের
স্পোর্টস ডেস্ক॥ টানা ১৫ দিন হোটেলে একাকী সময় কেটেছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ জেমি ডের। পঞ্চমবারের পরীায় করোনাভাইরাস ‘নেগেটিভ’ হওযায় এখন দুশ্চিন্তামুক্ত ইংলিশ কোচ। আগামীকাল (বুধবার) সকালে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। করোনামুক্ত হয়ে এখন ডের সব মনোযোগ ৪ ডিসেম্বর কাতারের বিপে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে। এই ম্যাচ ঘিরে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন ৪১ বছর বয়সী কোচ। কাতার যাওয়ার আগে আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ডে বলেছেন, ‘লম্বা সময় ধরে আমি রুমের মধ্যে ছিলাম। এটা মানসিক ও শারীরিকভাবে খুবই কঠিন বিষয় ছিল। আমার করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। তবে সেটা শেষ। এখন আমি শুধু সামনের ম্যাচেই মনোযোগ দিতে পারবো না, দলের সঙ্গে সম্পৃক্তও থাকতে পারবো।’ কালই যাচ্ছেন কাতার। তবে এই সময়টুকুও অপোয় থাকতে পারছেন না ডে। জামাল-জীবনদের সঙ্গে রণকৌশল সাজাতে উন্মুখ হয়ে আছেন। আবারও শিষ্যদের নিয়ে অনুশীলন নামতে তর সইছে না এই ইংলিশের। এতদিন হোটেলবন্দী থাকলেও মন পড়ে ছিল কাতারে। এখন করোনামুক্ত হওয়ায় তার মন বেঁধে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। দলের মাঝে ফিরতে তিনি কতটা উন্মুখ হয়ে আছেন, সেটা এই কথাতেই স্পষ্ট, ‘কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়দের মাঝে ফেরা এবং আবারও দলের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য চমৎকার ব্যাপার। গত দুই-তিন সপ্তাহ আমি দলকে মিস করেছি। আশা করছি, দ্রুত তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবো।’ কাতারের মুখোমুখি হওয়ার আগে বাংলাদেশ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। দুটিতেই হেরেছে জামালরা। কাতার আর্মির কাছে ৩-২ ও লুসাইল স্পোর্টস কাবের কাছে হারতে হয়েছে ১-০ গোলে। যদিও ডে দুই প্রস্তুতি ম্যাচের ফলকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন, ‘দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ছেলেরা খুবই ভালো করেছে। ফল মূখ্য ছিল না, ল্য ছিল ম্যাচ ফিটনেসের দিকে। সবাই ফিট এবং ভালো আছে, ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছে। আমাদের মনে হচ্ছে, অল্প সময়ে সর্বোচ্চ যতটা ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তা নিতে পেরেছি। কাতার ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিতে মুখিয়ে আছি আমরা।’ বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে কৌশল কেমন হতে পারে বাংলাদেশের? ডে স্পষ্ট না করলেও ধারণা করা হচ্ছে, ৪-১-৪-১ ফর্মেশনে নামবে দল। প্রতিআক্রমণ নির্ভর খেলে যদি কিছু করা যায়। ডের ভাষায়, ‘খেলার ফর্মেশন কী হবে? তা এখনই বলতে চাই না। আগামী ৪ ডিসেম্বর সবকিছু পরিষ্কার হবে। তবে খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। দল ভালো হাতে ছিল… ওয়াটকিস (সহকারী) অভিজ্ঞ কোচ। সে দারুণ কাজ করেছে। আমি শুধু সবাইকে দেখার অপোয় আছি। আবারও মাঠে ফেরা, ছেলেদের খেলা দেখা এবং ম্যাচের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারাটা আমার জন্য দারুণ হবে।’

শূন্যের রেকর্ডের আরেকটু কাছে আফ্রিদি
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ঝড়ো ফিফটি দিয়ে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ অভিযান শুরু করেছিলেন শহিদ আফ্রিদি। সোমবারের ম্যাচে দেখা গেল তার ব্যাটিংয়ের আরেকটি চেনা রূপ। গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে এ দিন ক্যান্ডি টাস্কার্সের বিপে তিনি আউট হয়েছেন প্রথম বলেই। তাতে অনাকাঙ্তি এক রেকর্ডের পথে আরেকধাপ এগিয়ে গেছেন আফ্রিদি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই নিয়ে ২৬ বার শূন্য রানে আউট হলেন আফ্রিদি। তার সমান শূন্য আছে কামরান আকমল ও লেন্ডল সিমন্সেরও। শূন্যের রেকর্ড ছোঁয়া থেকে মাত্র ২ ধাপ পেছনে আছেন তারা। ২০ ওভারের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি শূন্যের রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন স্মিথের। ৩২৭ ইনিংসে ২৮ বার শূন্য রানে আউট হওয়ার তেতো স্বাদ পেয়েছেন স্মিথ। ২৭ বার করে শূন্য রানে ফিরেছেন উমর আকমল ও ক্রিস গেইল। উমর আকমল খেলেছেন ২৪২ ইনিংস, গেইল ৪০৩ ইনিংস। আফ্রিদির ২৬ শূন্য এসেছে ২৭৬ ইনিংস খেলে। সুনিল নারাইন শূন্যতে ফিরেছেন ২৫ বার। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯ শূন্য ইমরুল কায়েসের। সাকিব আল হাসান এই স্বাদ পেয়েছেন ১৮ বার। একবারও শূন্য রানে আউট না হয়ে সবচেয়ে বেশি ইনিংস খেলার রেকর্ড মার্ক বাউচারের। সাবেক দণি আফ্রিকান কিপারের ৭৬ ম্যাচের ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে শূন্য না করেই। তার রেকর্ড তাড়া করছেন এই সময়ের কিপার অ্যালেক্স কেয়ারি। এই অস্ট্রেলিয়ান এখন ৬৫ ইনিংস খেলেছেন, কোনো শূন্য নেই।

কুমিল্লার জালে বসুন্ধরার মেয়েদের ১৫ গোল
স্পোর্টস ডেস্ক॥ মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে আরো একবার গোল উৎসব করল বসুন্ধরা কিংস। প্রতিপরে জালে এবার ১৫ গোল দিয়েছে দলটি। মঙ্গলবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল বসুন্ধরা। দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচটিতে ১৫-০ গোলে জয় তুলে নেয় জাতীয় দলের বড় তারকাদের নিয়ে গড়া দলটা। এদিন কিংসের পে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও কৃষ্ণা রানী সরকার করেছেন ৪টি করে গোল। ডিফেন্ডার শিউলি আজিম জোড়া গোল করেন। বাকি ৫ গোল আসে তহুরা খাতুন, আঁখি খাতুন, মনিকা চাকমা, মাসুরা পারভীন ও শামসুন্নাহারের পা থেকে। লিগ শিরোপা থেকে বলতে গেলে নিশ্বাস দূরত্বে দাঁড়িয়ে এখন বসুন্ধরা। ১০ ম্যাচের সবগুলো জিতে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা। বাকি দুই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পেলেই কোনো হিসাব ছাড়াই শিরোপা উৎসব করবে তারা।