শ্যালিকাকে অপহরণের অভিযোগে দুলাভাইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

0

ফুলবাড়ীগেট (খুলনা) সংবাদদাতা ॥ খুলনার খানজাহান আলী থানার ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী আফসানা মিমি বৃষ্টি (১৫) তার দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলফাজ আহম্মেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন শাশুড়ি এবং স্ত্রী। পুলিশ আট দিনেও বর্ষাকে উদ্ধার করতে পারিনি। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, খানজাহান আলী থানার শিরোমণি পূর্বপাড়ার কাজী দিদারুল আলম ওরফে বাপ্পির মেয়ে আফসানা মিমি বৃষ্টির ২০) সাথে ফুলতলা থানার রুহুল আমিনের ছেলে আলফাজ আহম্মেদের পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আলফাজ একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করে বলা হলেও পরে জানা যায় সে ভবঘুরে বেকার। বিষয়টি জানতে পেরে বৃষ্টিকে তার মা বাড়িতে নিয়ে আসে। স্ত্রীকে না পাঠালে তার ছোট শ্যালিকা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ফারহানা তামান্না বর্ষার ক্ষতি করবে বলে আলফাজ মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়। গত ১৪ নভেম্বর বর্ষা কলেজে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বাড়ি থেকে বের হয়। সকাল ১০টার দিকে শিরোমণি পূর্বপাড়া তেঁতুলতলা থেকে তাকে অপহরণ করে আলফাজ সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বর্ষার মা জামাই আলফাজ আহম্মেদ(৩০), তার ভাই মো. জুয়েল(৩৩), বাবা রুহুল আমিন সরদার(৬২), বড় ভাইয়ের স্ত্রী রহিমা বেগম(২৫) এবং যশোর সদর থানার সোহাগ হোসেনকে (৩৭) আসামি করে গত ১৯ নভেম্বর খানজাহান আলী থানায় মামলা করেন। অপহৃত স্কুলছাত্রী বর্ষাকে উদ্ধারের জন্য তার বাবা দিদারুল আলম র‌্যাব-৬ বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। অপরদিকে আলফাজের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী আফসানা মিমি বৃষ্টি আদালতে যৌতুকের মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর বিভিন্ন অজুহাতে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় আলফাজ। পরবর্তিতে ব্যবসার জন্য আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় বৃষ্টির ওপর অত্যাচার শুরু করে। এদিকে অপহরণের ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর খানজাহান আলী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে অপহরণ মামলা হলেও পুলিশ এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত অপহৃত বর্ষাকে উদ্ধার করতে পারেনি।