নবগঙ্গা নদী খনন প্রকল্পের ৮০ লাখ টাকার মাটির হদিস নেই

0

নড়াইল সংবাদদাতা॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নবগঙ্গা নদী পারের মাটি অবৈধভাবে কেটে নিচ্ছে নূর আলম ও তার সহযোগীরা। তারা প্রকাশ্যে এ কাজ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। প্রায় এক মাস ধরে অবৈধভাবে মাটি কেটে নিচ্ছেন তারা। অভিযুক্ত নূর আলমের বাড়ি উপজেলার মলি­কপুর ইউনিয়নের পাঁচুড়িয়া গ্রামে। নূর আলমের সহযোগী মল্লিকপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে সবুজ, পার-মল্লিকপুর গ্রামের মৃত খালেক শেখের ছেলে ওকি শেখ, মান্নান শেখের ছেলে বিপুল শেখসহ ৮-১০ জন। তারা মাটি কেটে নিচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব মাটি যাচ্ছে উপজেলার অনুমোদনহীন বিভিন্ন ইটভাটায়। এছাড়া নদী পারের মাটি দিয়ে অনেকে পুকুর ভরাটের কাজও করছেন। মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন নূর আলম। এসব মাটি কেটে নেয়ার ফলে নদী ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী কয়েকশ পরিবার। মাটিকাটায় বাধা দিলে স্থানীয়দের হুমকি দেয়া হয়। নবগঙ্গা নদীর চর-মল্লিকপুর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকটি ট্রাকে করে নদী পারের মাটি কেটে অন্যত্র নেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে ট্রাক রেখে পালিয়ে যান শ্রমিক এবং চালক। এ সময় কথা হয় মাটিকাটায় নিয়োজিত ভেকু মেশিন চালকদের সঙ্গে। তারা জানান, নূর আলম তাদের সঙ্গে মাটিকাটার বিষয়ে চুক্তি করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী মাটি নিচ্ছেন তারা। মাটিকাটা সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নূর আলম বলেন, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে অনুমতি দিয়েছেন। আমি ভেকু মেশিন ভাড়া করে মাটি নিচ্ছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন বলেন, মাটি বিক্রি করার কোনো নিয়ম নেই। তবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য মাটি দেয়া যায়। তাও অনুমতি সাপেক্ষে। তিন-চার মাস আগে কাজ বন্ধ হয়েছে, এখন তো মাটি দেয়ার কথা না। তিনি আরও বলেন, খবর পেয়েছি অবৈধভাবে কিছু লোক নদীর পার কেটে মাটি নিচ্ছেন। আমি ওই এলাকায় গিয়ে তদন্ত করে বিষয়টি দেখব।