ভাসানী বেঁচে থাকলে দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচন হতে পারতো না : বরকতুল্লাহ বুলু

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু বলেছেন, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আদর্শে গড়া একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি। মওলানা ভাসানী পৃথিবীর একজন মহান নেতা। তিনি যদি আজ বেঁচে থাকতেন তাহলে দেশে গণতন্ত্রহীন, ভোটারবিহীন কোনো নির্বাচন হতে পারতো না। সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ভাসানীর আদর্শই একমাত্র পথ। মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের সন্তোষে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবীর খোকন ও শিমুল বিশ্বাসসহ দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সন্তোষের ভাসানীর মাজারে ঢল নামে মানুষের।
টাঙ্গাইলে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার মওলানা ভাসানীর ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আলাউদ্দিন। এরপর ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। তারপর একেএকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, জাসাস, ভাসানী আদর্শ অনুশীলন পরিষদ, ভাসানী স্মৃতি পরিষদ, ন্যাপ ভাসানী, আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকে দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করেন। পরে বঙ্গবীর বলেন, আমার রাজনৈতিক পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পিতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। দেশের এই হাহাকার পরিস্থিতিতে আমাদের সকলকে ভাসানীর জীবন ও তার চরিত্র আরো কঠিনভাবে অধ্যায়ন করা উচিৎ।
ভাসানীর মাজার জিয়ারত করেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মাজার জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকার সবার কণ্ঠরোধ করে রেখেছে, গণতন্ত্রকে কবরে শায়িত করেছে। যদি আমরা এই গণতন্ত্রকে বাঁচাতে চাই সবার সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করা ছাড়া কোনো পথ নেই। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমরা মওলানা ভাসানীর পথ অনুসরণ করে রাস্তায় থাকবো। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করেন। এছাড়া জেলা জাতীয় পার্টি, কমিউনিষ্ট পার্টি, ভাসানী স্মৃতি সংসদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, মাওলানা ভাসানী স্মৃতিসৌধ ব্যবস্থাপনা কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এদিকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ক্যাম্পাসে অবস্থিত শাহ্ নাসিরউদ্দিন বোগদাদী এতিমখানায় কুরআন খতম ও এতিমদের জন্য খাবার পরিবেশন করা হয়। উল্লেখ্য, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সন্তোষের মাজারে তার ভক্ত ও অনুসারীদের ঢল নামে।