স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি বন্ধে টিআইবি’র ১৫ সুপারিশ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে এসব বন্ধে ১৫ দফা সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতে সংঘটিত অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে আস্থার সংকট, সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে এসব সুপারিশ করে সংস্থাটি। ‘করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ- দ্বিতীয় পর্ব’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। টিআইবি গবেষণাপত্রে বলা হয়, করোনা মোকাবিলায় সরকারের কিছু কার্যক্রমে উন্নতি হলেও গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমে এখনও সুশাসনের ব্যাপক ঘাটতি বিদ্যমান। স্বাস্থ্য খাতে গভীরভাবে বিস্তৃত দুর্নীতি করোনা সংকটে প্রকটভাবে উন্মোচিত হওয়ার পাশাপাশি এই সংকটকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির নতুন সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সরকারের সংকোচনমূলক নীতি প্রয়োগের (সেবা ও নমুনা পরীক্ষা হ্রাস) মাধ্যমে শনাক্তের সংখ্যা হ্রাস হওয়াকে ‘করোনা নিয়ন্ত্রণ’ হিসেবে দাবি এবং রাজনৈতিক অর্জন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তথ্য প্রকাশে বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমেও অনিয়ম-দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাকে আড়াল করার প্রবণতা লক্ষ করা গেছে।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন গবেষণা ও পলিসি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. জুলকারনাইন। গবেষক দলের অপর সদস্যরা হলেন, একই বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ নূরে আলম, মোরশেদা আক্তার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাসলিমা আকতার এবং সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার মনজুর-ই খোদা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আউটরিচ ও কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মঞ্জুর-ই-আলম। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৫ জুন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রাক-সংক্রমণ প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে ও সংক্রমণকালে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল টিআইবি। যার ধারাবাহিকতায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুশাসনের চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে ২০২০ সালের ১৬ জুন থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, করোনা মোকাবিলায় প্রাসঙ্গিক আইন, যথা- করোনা মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২ এবং সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮-এর কোনোটিই যথাযথভাবে এখনও অনুসরণ করা হচ্ছে না এবং করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতে বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পে ক্রয়সহ সব ধরনের ক্রয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ অনুসরণ করা হয়নি। গবেষণায় দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী ভারতসহ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষাগার ও নমুনা পরীক্ষায় ঘাটতি রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, একটি দেশে শনাক্তের হার মোট নমুনা পরীক্ষার ৫ শতাংশের বেশি হলে ওই দেশে প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে নির্দেশ করে। কিন্তু বাংলাদেশে ১৬ জুন থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত গড় শনাক্তের হার ছিল ১৭ দশমিক ৪ ভাগ (সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ৯ ভাগ)। ১৫ জুন-পরবর্তী সময়ে ‘কারিগরি পরামর্শক কমিটি’সহ বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিনে ২৫ থেকে ৩০ হাজার পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। কিন্তু পরীক্ষাগারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ১৫ জুন থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন ১৩ হাজার করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। আক্রান্তের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে ২০তম অবস্থানে থাকলেও জনসংখ্যার অনুপাতে পরীক্ষার হারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১৬২তম। নমুনা পরীক্ষার বৈশ্বিক গড়ের (১০ দশমিক ৫ ভাগ) চেয়ে বাংলাদেশ (১ দশমিক ৫ ভাগ) এখনও অনেক পিছিয়ে।
গবেষণায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা সেবা সম্প্রসারণে ঘাটতি এবং পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়নে ঘাটতি দেখা গেছে। বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় নতুন করে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করলেও বাংলাদেশে কোভিডের জন্য নির্ধারিত কয়েকটি হাসপাতালে রোগী না থাকার কারণে চিকিৎসা কার্যক্রম বাতিল করে সাধারণ চিকিৎসা চালুর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণের সঠিক চিত্র পেতে এবং দ্রুততার সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তি চিহ্নিত করতে গত ৩ জুন কারিগরি পরামর্শ কমিটি আরটি-পিসিআর পরীক্ষার পাশাপাশি অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য সুপারিশ করলেও এখনও তা কার্যকর করা হয়নি। গবেষণায় নমুনা পরীক্ষায়ও দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। এখনও নমুনা পরীক্ষার ফল পেতে ৩৪ দশমিক ৪ ভাগ সেবা গ্রহীতাকে তিন বা ততধিক দিন প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। জুন মাস পরবর্তী সময়েও করোনা সংকট মোকাবিলায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখা গেছে। গবেষণায় হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা, হাসপাতালে মানসম্মত সুরক্ষাসামগ্রী এবং কমিউনিটি পর্যায়ে সংক্রমণ বিস্তার রোধে কার্যকারিতার ঘাটতি লক্ষ করা যায়। এছাড়া করোনা সংক্রমণ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশে ঘাটতি ও মতপ্রকাশে বিধিনিষেধ দেখা যায়। সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি দাবি করে অধিদফতর থেকে টেলিভিশনে প্রচারিত নিয়মিত বুলেটিনটি ১২ আগস্ট ২০২০ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮ আগস্ট ২০২০ তারিখে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক গণমাধ্যমে করোনা বিষয়ক তথ্য ও মতামত প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিপরীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ব্যবহার করোনার সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্টিক্যাল-১৯-এর তথ্য অনুযায়ী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় ২০২০ সালের প্রথম নয় মাসে (সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত) ২৯১ জনের বিরুদ্ধে মোট ১৪৫টি মামলা করা হয়। যার মধ্যে ৬০ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করা হয় এবং ৩০ জন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিজিটাল আইনে হওয়া মামলাগুলোর তিন-চতুর্থাংশের বেশি সরকার, সরকারি দলের লোকজন এবং সরকারের কাজকর্ম নিয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্যের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্যমতে, এই নয় মাসে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নিয়ে সমালোচনাধর্মী সংবাদ প্রকাশের কারণে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের ১০ জন সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় জাতীয় এবং স্থানীয় উভয় পর্যায়েই সুশাসনের সব নির্দেশকেই ব্যত্যয় ঘটেছে এবং ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। করোনাভাইরাসের এই সংকট এবং সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাত যে চাপের মধ্যে পড়েছে, এই দুইয়ের সুযোগ নিয়ে দুর্নীতিবাজ, দুর্নীতির সুবিধাভোগী এবং দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ব্যক্তিবর্গ দুর্নীতির মহোৎসবে নেমেছে। ফলে ব্যাপক দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এক্ষেত্রে জবাবদিহির কোনও দৃষ্টান্ত যেমন ছিল না, তেমনি কোনও নিয়ন্ত্রণ, তদারকিও ছিল না বললেই চলে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের নামে কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিভাগীয় পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শুধু বদলি এবং ওএসডি-নির্ভর এক ধরনের আনুষ্ঠানিকতা দেখা গেছে। দুদক কিছুটা সক্রিয় হলেও নিজস্ব এক ধরনের সীমারেখার ভেতরেই তারা বিচরণ করছে। ফলে যারা দুর্নীতির তথাকথিত রুই-কাতলা, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে, শুধু সামনের সারিতে থাকা কিছু ব্যক্তিকে টানাহেঁচড়া করা হয়েছে। যখন স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে আলোচিত এবং জাতীয় পর্যায়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে, তখন স্বাস্থ্য বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এই সময়কালে একটি বৈঠকও করেনি। তারা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ছিল। হয়তোবা এরমধ্যে তাদের স্বার্থের দ্বন্দ্ব এবং দুর্নীতি যারা করেন, তাদের সুরক্ষা দেওয়ার মানসিকতা থাকতে পারে।’ করোনার এই সংকটে তথ্যের নিয়ন্ত্রণে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘শীত মৌসুমে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে প্রধানমন্ত্রী সতর্কবার্তা দিলেও বাস্তবে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘোষণা ছাড়া সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোনও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বা কৌশল দেখতে পাই না।’ গবেষণায় প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণে টিআইবি আইনের শাসন, পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, অংশগ্রহণ ও সমন্বয় এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এই চারটি বিষয়ের অধীনে ১৫ দফা সুপারিশ উত্থাপন করে। উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো, স্বাস্থ্য খাতের সব ধরনের ক্রয়ে সরকারি ক্রয় আইন ও বিধি অনুসরণ করতে হবে; করোনা সংক্রমণের সম্ভাব্য দ্বিতীয় পর্যায়ের আঘাত মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে; বিনামূল্যে নমুনা পরীক্ষার সুবিধা সব জেলায় সম্প্রসারণ করতে হবে; সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালের সেবাগুলোকে (আইসিইউ, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি) করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি দফতরের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করতে হবে; দেশজুড়ে প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতার জন্য সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে নিয়মিত সভা করতে হবে এবং করোনায় সংঘটিত অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে; করোনা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে যে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে তা বাতিল করতে হবে; গণমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে সরকারি ক্রয়, করোনা সংক্রমণের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ, ত্রাণ ও প্রণোদনা বরাদ্দ ও বিতরণ ইত্যাদি বিষয়ে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে; ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল বা সংশোধন করতে হবে এবং হয়রানিমূলক সব মামলা তুলে নিতে হবে; বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগীদের তালিকা যাচাই-বাছাই ও হালনাগাদ করতে হবে এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে; স্বাস্থ্য খাতে ক্রয়ে তদারকি বৃদ্ধি করতে হবে এবং অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সাময়িক বরখাস্ত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণসহ মামলা পরিচালনা করতে হবে। এসব জনপ্রতিনিধিকে পরবর্তী যেকোনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা বাতিল ঘোষণা করতে হবে; সম্মুখ সারির সব স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রাপ্য প্রণোদনা দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে।