খেলার খবর

0

৮ মৌসুমে ট্রফি নেই, কোহলির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক॥ আইপিএলে ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির সামর্থ্য ও পারফরম্যান্স যতটা প্রশংসিত, ততটাই প্রশ্নবিদ্ধ অধিনায়ক কোহলির পারফরম্যান্স। বছরের পর বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের নেতৃত্বে থেকেও তিনি ট্রফি এনে দিতে পারেননি দলকে। এবারের ব্যর্থতার পর সাবেক দুই ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভির ও সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলছেন, ব্যাঙ্গালোরের নেতৃত্ব থেকে কোহলিকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে এলিমিনেটরে হেরে শুক্রবার এবারের আইপিএল থেকে ছিটকে গেছে কোহলির ব্যাঙ্গালোর। বরাবরই আইপিএলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দলগুলির একটি হলেও এখনও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায়নি দলটি। কোহলি নেতৃত্বে আছেন ২০১৩ সাল থেকে। এই ৮ মৌসুমে এবার নিয়ে মাত্র তিন বার প্লে অফে খেলতে পেরেছে তারা, ফাইনালে পা রেখেছে একবার। কোহলি অধিনায়ক হওয়ার আগে পাঁচ মৌসুমে দলটি ফাইনাল খেলেছে দুই বার। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইসপিএনক্রিকইনফোকে গম্ভির বললেন, এই ব্যর্থতার দায় অবশ্যই নিতে হবে কোহলিকে। “আট বছর নেতৃত্ব দিয়েও ট্রফি নেইৃআট বছর অনেক সময়। আমাকে বলুন, অন্য কোনো অধিনায়কৃঅধিনায়কের কথা বাদই দিলাম, অন্য কোনো খেলোয়াড় আট বছর খেলে শিরোপা না জিতলে তাকে কি রাখা হতো? ব্যাপারটা দায়িত্ববোধের। অধিনায়ককে দায়িত্ব নিতেই হবে।” “এটা স্রেফ এই বছরের ব্যাপার নয়। কোহলির সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তার এগিয়ে এসে বলা উচিত, ‘হ্যাঁ, দায় আমারই।” ভারতের অন্যান্য তারকা ও অন্য দলগুলির উদাহরণ তুলে ধরলেন দুই বার আইপিএলের শিরোপা জয়ী অধিনায়ক গম্ভির। “আট বছর অনেক অনেক লম্বা সময়। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দিকে তাকান, দুই বছরের নেতৃত্বে (কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে) সাফল্য না পাওয়ায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। রোহিত শর্মা মুম্বাইকে চারটি ট্রফি এনে দিয়েছে, ধোনি চেন্নাইকে এনে দিয়েছে তিনটি। এজন্যই এত লম্বা সময় নেতৃত্বে আছে। আমি নিশ্চিত, রোহিত যদি সাফল্য না আনতে পারত, তাকে এত লম্বা সময় দায়িত্বে রাখা হতো না। একেক জনের জন্য একেকরকম মানদণ্ড থাকা উচিত নয়।” “এমন নয় যে কোহলি অভিজ্ঞ নয়। সে ভারতের অধিনায়ক অনেক দিন ধরে। যেখানেই খেলে, সে অধিনায়কত্ব করে। কিন্তু তাকে ফল এনে দিতে হবে। সাফল্য পেতে হবে।” আরেক সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান ও ধারাভাষ্যকার মাঞ্জরেকারের মতে, কোহলিকে সরিয়ে দেওয়ার কাজটি করতে হবে ব্যাঙ্গালোরের মালিকপ বা দায়িত্বপ্রাপ্তদের। “দায়িত্বটা অধিনায়কের নিজের নয়, মালিকপকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ তারাই অধিনায়ক নিয়োগ দেন এবং সিদ্ধান্ত নেন, দলের জন্য কোন ধরনের নেতৃত্ব প্রয়োজন। দৃশ্যপট বদলাতে হলে, ফল বদলাতে হলে অধিনায়ক বদলাতে হবে। আমার এই আশা নেই যে কোহলি নিজে থেকেই বলবে, ‘আমি পারিনি।’ দায়িত্বটি মালিকদের।” “ব্যাঙ্গালোরের ট্রফি জিততে না পারার পেছনে আমি প্রথমে মালিকপকেই দায় দেব। প্রত্যাশিত ফল দেওয়ার মতো সঠিক অধিনায়ককে তারা দায়িত্ব দিতে পারেননি এবং পরিকল্পনায় গলদ থেকে গেছে। আশা করি, এবারই চূড়ান্ত উপলব্ধি তাদের হবেৃ।”

‘বার্সায় থাকতে হলে মেসিকে বেতন কমাতে হবে’
স্পোর্টস ডেস্ক॥ লিওনেল মেসি বার্সেলোনায় বর্তমান চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চাইলে তাকে অবশ্যই বেতন কমাতে হবে বলে জানিয়েছেন কাবটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী টনি ফ্রেইক্সা। সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ ও বোর্ডের বাকি পরিচালকরা পদত্যাগ করার পর বর্তমানে কার্লোস তুতকেতসের নেতৃত্বে একটি পরিচালনা পরিষদের অধীনে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বার্সা। আগামী বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হবে বার্তোমেউয়ের উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার নির্বাচন। সেখানে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রেইক্সা। মেসির ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “লিওর সঙ্গে আমরা শান্তভাবে কাবের এই দুঃসময়ে কথা বলব। আমাদের প্রস্তাব থাকবে এখনো পর্যন্ত যে পরিমাণ অর্থ ও পেয়ে এসেছে তা আমরা আর বহন করতে পারছি না। তাই কাটছাঁট করতে বলা হবে। সদস্যদের সমস্ত কিছু জানা প্রয়োজন। কাবের উপার্জন অস্বাভাবিক হারে কমে গিয়েছে। আমাদের নতুন কোনো ফর্মুলা বের করতেই হবে।” মেসিকে কাবে রাখতে মরিয়া বার্সা। এর অন্যতম কারণই হল ব্র্যান্ড ভ্যালু। মেসি শুধু বার্সা নয়, স্প্যানিশ লিগেরও অন্যতম আকর্ষণ। কোনো কারণে মেসি কাব ছাড়লে বার্সার ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে তিগ্রস্ত হবে ফুটবল বিশ্বে। সেই আশঙ্কাতেই এখন কাব এবং সমর্থকদের। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৫ লাখ ইউরো বেতন পেয়ে থাকেন। তবে বার্সা করোনা মহামারির কারণে আপাতত ৭০ কোটি ইউরো দেনায় ডুবে রয়েছে।

সাবিনা-কৃষ্ণাদের মাঠে ফেরার আনন্দ
স্পোর্টস ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনেকদিনই ঘরবন্দী জীবন কেটেছে সাবিনা খাতুন-কৃষ্ণা সরকারদের। করোনা এখনও দূর হয়নি, তবে আবারও সুযোগ হয়েছে তাদের মাঠে নামার। দীর্ঘ সাত মাসের বিরতিও অবশ্য সাবিনাদের খেলায় মরচে ধরতে দেয়নি। স্বাভাবিক খেলাটা খেলেই মেয়েদের লিগে নিজেদের ষষ্ঠ জয় তুলে নিয়েছে সাবিনাদের দল বসুন্ধরা কিংস। শনিবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংস ৭-০ গোলে হারিয়েছে এফসি উত্তরবঙ্গকে। টানা ষষ্ঠ জয়ে বসুন্ধরা ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে উত্তরবঙ্গ আগের ৭ পয়েন্টেই দাঁড়িয়ে আছে। বসুন্ধরার হয়ে কৃষ্ণা দুটি, শিউলি, তহুরা, মুন্নি, মনিকা ও সাবিনা একটি করে গোল করে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন। তবে প্রথমার্ধে উত্তরবঙ্গের কেউ ল্যভেদ করতে পারেননি। সাতটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের পর বসুন্ধরার কোচ মাহমুদা শরীফা অদিতি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘অনেক দিন পর মাঠে খেলা ফিরলো। তাই মাঠের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সময় লেগেছে। প্রতিপও ভালো খেলেছে, তাই গোল পেতে সময় লেগেছে আমাদের।’ লিগে ১৬ গোল করে সাবিনা খাতুন এককভাবে শীর্ষে আছেন। আবারও লিগে খেলতে পেরে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন খুশি, ‘লিগ আবারও শুরু হওয়াটা আমাদের জন্য আনন্দদায়ক। আর অনেকদিন পর মাঠে খেললাম। ভালো লেগেছে। টার্ফে খেলা। এটা সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া সাত-আট মাস পর এক সঙ্গে খেলতে নেমেছি, এজন্য গোল পেতে দেরি হচ্ছিল।’ উত্তরবঙ্গের খেলার প্রশংসা করে এই স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘উত্তরবঙ্গ ভালো খেলেছে। হাফ টাইমের আগে যেভাবে খেলেছি তার চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ভালো খেলেছি, ঠিকই আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমরা চান্স পেয়ে কাজে লাগিয়েছি।’

বাবরের ব্যাটে জয়ে শুরু পাকিস্তানের
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দিয়েছিলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। কিন্তু বাজে বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে খুব একটা লড়াই করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। বাবর আজমের ফিফটিতে সহজ জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতে শনিবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে বাবরের দল। নিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মাধেভেরের ৪৮ বলে খেলা ৭০ রানের চমৎকার ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করে জিম্বাবুয়ে। বাবরের ৮২ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংসে ৭ বল বাকি থাকতেই ল্য ছুঁয়ে ফেলে পাকিস্তান। রান তাড়ায় ফখর জামান ও বাবরের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় পাকিস্তান। ১২ বলে ১৯ রান করে ফখর ফিরে গেলে ভাঙে ৩৬ রানের শুরুর জুটি। বেশিণ টিকেননি হায়দার আলি। তবে এর প্রভাব দলের উপর পড়তে দেননি বাবর। শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে দলকে টানেন অধিনায়ক। তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে তার ৮০ রানের জুটিতে জয়ের পথে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। দ্রুত ম্যাচ শেষ করার তাড়ায় বড় শট খেলছিলেন বাবর। সেটাই শেষ পর্যন্ত তার জন্য কাল হয়। টেন্ডাই চাটারাকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ধরা পড়েন সীমানায়। ৫৫ বলে খেলা তার ৮২ রানের ইনিংসে ৯টি চারের পাশে একটি ছক্কা। এরপর হাফিজকে হারিয়ে সহজেই ল্েয পৌঁছে যায় পাকিস্তান। এর আগে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই অধিনায়ক চামু চিবাবাকে হারায় জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে ভোগানো ব্রেন্ডন টেইলর ও শন উইলিয়ামস দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন এবারও। তাদের জুটিতে রান আসছিল দ্রুত। কিন্তু ভালো শুরুটা বড় করতে পারেননি কেউই। এরপরই মাধেভেরের দৃঢ় লড়াই। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে টানেন এই তরুণ। শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত থাকেন তিনি। প্রায় দেড় বছর পর দেশের হয়ে খেলতে নামা এল্টন চিগুম্বুরার ১৩ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২১ রানের ইনিংসে দেড়শ ছাড়ায় জিম্বাবুয়ে। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বাবর জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

নাঈম-তানজিদ-শামীমের দ্যুতিময় ব্যাটিং
স্পোর্টস ডেস্ক॥ একবার সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেলেন তানজিদ হাসান তামিম। আরও বার দুয়েক আউট হলেন না অল্পের জন্য। এসবের ফাঁকে দেখালেন দুর্দান্ত সব স্ট্রোকের ঝলক। তবে তিন অঙ্কে ছুঁতে পারলেন না। আরেক বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখও একই পথের পথিক, দারুণ সব শট খেলেও পারলেন না সেঞ্চুরিতে যেতে। শামীম হোসেন অবশ্য আরও একবার দেখালেন তার ফিনিশিং দতা। হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের একদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে এই তিনজনের পাশাপাশি ফিফটি করেছেন এই ম্যাচের দুই অধিনায়ক আফিফ হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়ও। তবে দুজনের ইনিংস ছিল দুইরকম। ফিফটির পর দলকে টেনে নেওয়ার দায়িত্ব পূরণ করতে পারেননি আফিফ। হৃদয় অপরাজিত ফিফটিতে ফিরেছেন দলের জয় সঙ্গে নিয়ে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার এই ম্যাচে আফিফের ‘এ’ টিমকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে হৃদয়ের ‘বি’ টিম। ৫ ফিফটির ম্যাচে বোলাররা তেমন কেউ খুব ভালো করতে পারেননি। গতি, লেংথ ও প্রচেষ্টা দিয়ে যা একটু নজর কেড়েছে কেবল পেসার রেজাউর রহমান রাজার বোলিং। নাঈম ও শাহাদাত হোসেনের বাউন্ডারির মহড়ায় শুরু হয় ম্যাচ। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের ওপর চড়াও হন দুজনই। তবে ১৯ রান করে শাহাদাত বোল্ড হয়ে যান পরিবর্ত পেসার মুকিদুল ইসলামের বলে। দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের পর এই ম্যাচেও ধুঁকেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তিনে নেমে ১৫ রান করতে খেলেছেন তিনি ৩৪ বল। নাঈম শেখ এসময় ধরে রেখেছেন রানের গতি। আফিফ উইকেটে গিয়ে কিছুটা সময় নেন থিতু হতে। খুব লম্বা হয়নি এই জুটি। দুই বাঁহাতির জন্য শামীমের অফ স্পিন আক্রমণে আনেন অধিনায়ক। কাজ হয় তাতে। নাঈম ফেরেন ক্যাচ দিয়ে। ৮ চার ও ১ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৬৯ বলে ৬৭। এরপর মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আফিফ। কিন্তু মাহমুদুল হাসান জয়ের সরাসরি থ্রো মৃত্যুঞ্জয়কে থামায় ১৮ রানে। আফিফ ফিফটি স্পর্শ করেন ৭৯ বলে। পরের বলেই তিনি বিদায় নেন আলগা শটে, উইকেটের পেছনে দারুণ ক্যাচ নেন আকবর আলি। এই দলের লেজ ছিল অনেক লম্বা, বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান নামেন ৬ নম্বরে, সাতে পেসার সুমন খান। প্রতিপ বোলাররা তবু গুটিয়ে দিতে পারেনি ইনিংস। রকিবুল, সুমনরা লড়াই করে ৫০ ওভার খেলে ফেলেন। বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের করা ইনিংসের শেষ ওভারে একটি ছক্কা ও দুটি চারে কিছু রান বাড়ান শফিকুল ইসলাম। রান তাড়ায় টিম ‘বি’ ওপেনার পারভেজ হোসেনকে হারায় ৫ রানে। আরেক ওপেনার তানজিদ খেলতে থাকেন নিজের সহজাত আগ্রাসী সব শট। তিনে নামা মাহমুদুল থিতু হতে ভুগছিলেন। তানজিদের সৌজন্যে তবু রান আসতে থাকে দ্রুত। তানজিদকে থামাতে পেস সরিয়ে বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামকে আনা হয় আক্রমণে। প্রথম বলেই লং অনে ক্যাচ তুলে দেন তানজিদ। সহজ সেই ক্যাচ নিতে পারেননি শাহিন আলম। একটু পর সেই তানভিরকে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কায় ওড়ান তানজিদ। পরে একই জায়গা দিয়ে ছক্কা মারেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার রকিবুলকে। অতিরিক্ত শট খেলার প্রবণতাই আবার কাল হয় তানজিদের জন্য। রকিবুলের বলে ধরা পড়েন তিনি মিড উইকেটে। তৌহিদ হৃদয় ঠাণ্ডা মাথায় এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। আকবর তিনটি বাউন্ডারি মেরে বোল্ড হয়ে যান তানভিরের বলে। শামীমের সাবলীল ব্যাটিংয়ে তবু চাপে পড়তে হয়নি তাদের। দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ইনিংস ঘোষণার তাড়ার সময় ঝড়ো ফিফটি করা শামীম এবার পরিস্থিতির দাবি মেটানে আরেকটি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ৬৮ বলে ৬৭ রানে। হৃদয় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন ৭৯ বল খেলে। অনুশীলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার একটি টি-টোয়েন্টি খেলবে এইচপির ক্রিকেটাররা।