বাজারে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম চড়া : আবারো ইলিশের আমদানি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টানা বাইশ দিন বন্ধ থাকার পর আবারো যশোরের বাজারে ইলিশ মাছের আমদানি হয়েছে। অন্যান্য মাছের সরবরাহও প্রচুর। সবরকম মাছের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া বাজারে চাল, তেল, সবজি ও মাংসের বাড়তি দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে।
মা মাছ রক্ষায় গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন ইলিশসহ সবধরনের মাছ নদ-নদী ও সাগরে ধরা এবং বিক্রি নিষেধ ছিল। ৫ নভেম্বর থেকে যশোরের বড়বাজার মাছ বাজারে ইলিশ মাছের আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এক কেজিরও বেশি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ৮শ থেকে সাড়ে ৮শ টাকা, ৮শ/৯শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬শ টাকা আর ৪/৫ পিস ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ৪শ টাকায়।


এছাড়া এক কেজির বেশি ওজনের রুই মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে আড়াই শ টাকা, কাতল মাছ এক কেজির ওপরে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২শ টাকা, ৪ পিস কেজি গলদা চিংড়ি ১২শ টাকা, ৭/৮ পিস কেজি গলদা চিংড়ি ৮শ টাকা, এক কেজি ওজনের শোল মাছ ৬শ টাকা, ৬/৭ পিস কেজি শিং (চাষের) মাছ ৫শ টাকা, ৪ পিস কেজি মাগুর (চাষের) মাছ ৪শ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
গতকাল বড়বাজার চাল বাজারে মোটা চাল স্বর্ণা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে মানভেদে ৪১/৪২ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৬/৪৮ টাকা, কাজললতা নতুন ৪৬ ও পুরনো ৪৮/৪৯ টাকা, মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫১ টাকা ও বাংলামতি ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা। যশোর চাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল বিশ^াস জানান, আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে নতুন আমন ধানের চাল বাজারে চলে আসবে। সে সময় মোটা চালের দাম কমতে পারে বলে তিনি আশা করছেন।
এদিকে বড়বাজারের খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী রবি ব্যানার্জি জানান, গত বুধবার থেকে থেকে সয়াবিন, পাম, সুপার ও সরিষা তেলে প্রতি কেজিতে অন্তত ৫ টাকা করে দাম বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার তিনি সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১০৩ থেকে ১০৪ টাকা, পাম তেল ৯৪ টাকা, সুপার তেল ৯৮ টাকা ও সরিষা তেল ১২৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
বাজারে কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির উচ্চ দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাজারে শিম প্রতি কেজি ১২০ টাকা, ফুলকপি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, উচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মানকচু ৬০ টাকা, ওল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কুমড়ো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁচকলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুরলতি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তাছাড়া আলু প্রতি কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, দেশি রসুন ১১০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না রসুন ১০০ টাকা, শুকনো মরিচ ৩০০ টাকা, আদা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এদিন বড়বাজারে দেশি মুরগির কেজি ৩৮০ টাকা, ব্রয়লার ১২০ টাকা, সোনালী ১৮০ টাকা, লেয়ার ২২০ টাকা, গরুর মাংস ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা ও ছাগীর মাংস ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।