আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

গিলগিত-বালতিস্তানকে প্রদেশের মর্যাদা দেয়ায় ভারতের ক্ষোভ
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ পাকিস্তান সরকার গিলগিত-বালতিস্তানকে অস্থায়ী প্রদেশের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। গিলগিত-বালতিস্তান ভারতের ভূখণ্ড, যা পাকিস্তান জোর করে দখল করে রেখেছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। রোববার (০১ নভেম্বর) বিকেলে গিলগিত-বালতিস্তানকে অস্থায়ী প্রদেশের মর্যাদা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপরেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার বেআইনিভাবে, জোর করে দখলে রাখা ভারতীয় ভূখণ্ডের একাংশের চরিত্রগত পরিবর্তনের যে চেষ্টা চালাচ্ছে, ভারত তা দৃঢ?ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।’ অনুরাগ শ্রীবাস্তব আরও বলেন, ‘১৯৪৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী, গিলগিত-বালতিস্তান ভারতের কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জোর করে দখল করে রাখা ওই অঞ্চলের কোনও কিছু পরিবর্তন করার অধিকার নেই পাকিস্তানের। এ ধরনের কাজ আসলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। পাশাপাশি পাকিস্তানের ওই সিদ্ধান্তে এটা প্রমাণ হয় যে, কীভাবে দিনের পর দিন তারা একটি অঞ্চলের মানুষদের স্বাধীনতা খর্ব করে চলেছে। ভারতের যে জায়গাগুলো পাকিস্তান দখল করে রয়েছে, সেগুলোকে নিজেদের অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে ইসলামাবাদের উচিত অবিলম্বে সেখান থেকে সরে যাওয়া।’ রোববারের ইমরান খান বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন মেনেই আমাদের সরকার গিলগিত-বালতিস্তানকে বিশেষ প্রাদেশিক মর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ উপলে অঞ্চলটির বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গিলগিত-বালতিস্তানে আসন্ন নির্বাচনের কারণে আপাতত উন্নয়ন প্যাকেজ ঘোষণা করা যাচ্ছে না।
চলতি বছরে গত সেপ্টেম্বরে গিলগিত-বালতিস্তানে প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচন ঘোষণা করেছিল ইসলামাবাদ। সেসময়েও ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প থেকে ইমরান খান সরকারের ওই উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান সরকারের ওই পদেেপর কোনও আইনি বৈধতা নেই। ওই প্রক্রিয়ার গোড?াতেই ত্রুটি রয়েছে। কারণ, গিলগিত-বালতিস্তান পাক সেনার দ্বারা অবৈধভাবে, জোর করে দখল করা ভূখণ্ড।’
অনুরাগ শ্রীবাস্তব আরও বলেন, গিলগিত-বালতিস্তানে নির্বাচন ঘোষণা করে ভারতের ’অভ্যন্তরীণ’ বিষয়ে হস্তপে করেছে পাকিস্তান। চলতি বছরের প্রথমদিকে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট সেখানে প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচন করানোর জন্য পাকিস্তান সরকারকে ২০১৮ সালের প্রশাসনিক আইন সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার পাকিস্তানকে ‘কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্র’ (ডিমার্শ) পাঠায়। কিন্তু তা উপো করেই সেখানে নির্বাচনের সিদ্ধান্তে অটল থাকে ইসলামাবাদ। আগামী ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়। গত ১৮ অগস্ট প্রাদেশিক আইনসভার ২৪টি আসনে নির্বাচনের দিন স্থির হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। সূত্র: পার্স টুডে

আর্মেনিয়ার আরেকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল আজারবাইজান
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ আর্মেনিয়ার আরেকটি সুখোই-২৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে আজারবাইজান।গত চারদিনের মধ্যে এটি তৃতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা।সোমবার দেশটির প্রতিরা মন্ত্রণালয় এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিরা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রোববার জাঙ্গিলিয়ান অঞ্চলে আজারবাইজানি অবস্থানে বিমান হামলা চালানোর সময় এটি ভূপাতিত করা হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে। ১০ অক্টোবর থেকে তৃতীয় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই দেশ তুমুল সংঘাতে জড়ায়।
আজারবাইজানের চিফ প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ১০০ বেসামরিক নাগরিক আর্মেনিয়ার হামলায় নিহত হয়েছেন। আর্মেনিয়ার হামলায় অন্তত আড়াই হাজার ঘরবাড়ি, ৯২টি অ্যাপার্টমেন্ট এবং ৪২৮টি সরকারি ভবন তিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আজারবাইজানের কর্তৃপ। আন্তর্জাতিকভাবে নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের অঞ্চল। সেখানে আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠী দখলে রেখেছে। ১৯৯০ এর দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।

চীনের ভ্যাকসিন ঘোষণা দিতেই বিক্ষোভে উত্তাল সাও পাওলো
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ যতটা সহজভাবে চীনের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়ালপর্ব সম্পন্ন করার কথা ভাবা হয়েছিল, তেমনটা হল না ব্রাজিলে। ইতোমধ্যেই চীনা ভ্যাকসিন ‘করোনাভ্যাক’-এর বিরুদ্ধে সাও পাওলোয় শুরু হয়েছে তুমুল প্রতিবাদ। যদিও কারণটা একেবারেই অভ্যন্তরীণ। সাও পাওলোর গভর্নরের ঘোষণার জন্যই বাসিন্দাদের বিােভ। রবিবার সাও পাওলোর রাস্তায় গভর্নরের বিরুদ্ধে পোস্টার হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে রাস্তায় বেড়িয়ে আসে বহু সংখ্যক মানুষ। আসলে করোনা ভাইরাসের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিতি লাভ করা চীনের সিনোভ্যাকের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ব্রাজিলের।
সাও পাওলোর সবচেয়ে বিখ্যাত বায়োমেডিক্যাল গবেষণা সংস্থার মতে, সিনোভ্যাকের তৈরি প্রতিষেধক ‘করোনাভ্যাক’ সবচেয়ে নিরাপদ। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই দ্রুত তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু করার সিদ্ধান্তও হয় দেশটিতে। আর এরপরই সাও পাওলোর গভর্নর জোয়া ডোরিয়ার ঘোষণায় গোল বাঁধে। তিনি জানান,এই করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়াল বাধ্যতামূলক অর্থাৎ প্রত্যেক বাসিন্দাকে এই পরীায় অংশ নিতে হবে। তার যুক্তি ছিল, এতে সকলের রোগ প্রতিরোধ মতা বাড?বে, তাতে সবাই লাভবান হবে। আর এতেই প্তি হয়ে ওঠেন সাও পাওলোর বাসিন্দারা।
রবিবার গভর্নর জোয়া ডোরিয়ার বিরুদ্ধে পোস্টার নিয়ে রাজপথে নেমে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সকলের দাবি, এভাবে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য সকলকে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য বাধ্য করতে পারেন না গভর্নর। বিােভকারীদের হাতের পোস্টারেও সে কথাই লেখা। যদিও গভর্নরের এই ঘোষণার নেপথ্যে রয়েছেন স্বয়ং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। তিনিই আগে জানিয়েছিলেন যে করোনা প্রতিষেধকের জন্য তার দেশ স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা নেবে। এখন সাও পাওলোর এই বিােভের পর চীনের ভ্যাকসিনটির তৃতীয় দফা ট্রায়াল আদৌ শুরু হতে পারবে কি না ব্রাজিলে, তা নিয়ে সংশয় উসকে উঠল। তবে প্রশাসনের প থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।