নারী ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির উদ্বেগ

0

দেশে একের পর এক নারী ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটে চলায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা আহ্বায়ক ফরিদা পারভীন ও যুগ্ম-আহ্বায়ক পারভীন সুলতানা। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে ধর্ষণ কার্যত এক অপ্রতিরোধ্য অপরাধ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। দেশের আনাচে-কানাচে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বয়সী নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এ যেন ধর্ষকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের কতিপয় কর্মীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণযজ্ঞের পর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালানো এবং সেই ন্যাক্কারজনক পৈশাচিকতার ভিডিও চিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ-বিােভে ফেটে পড়েছে। গত ৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যশোরের শহরতলীর বকচর কোল্ড স্টোরেজ মোড় এলাকায় রাজশাহী থেকে আসা এক তরুণী (২৫) ধর্ষণের শিকার হয়। মতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রতিবাদের প্রয়োজন নেই; সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সিলেট ও নোয়াখালীর দুই ঘটনাকে ‘বর্বরতার চূড়ান্ত উদাহরণ’ বলে আখ্যায়িত করে আশ্বাস দিয়েছেন, এই ঘটনায় যারাই জড়িত হোক না কেন, তাদের সবাইকে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতেই হবে। খোদ সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার মাত্র ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশের েেত্র আদালতের রায় ঘোষিত হয়েছে, আর অপরাধীর দন্ডাদেশ ঘোষিত হয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ মামলায়। যে দেশে ৯৯ শতাংশের বেশি মামলায় অপরাধীরা শাস্তির বাইরে থেকে যায়, সেই দেশে সময়ে-সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের ন্যায়বিচারের আশ্বাসবাণী উচ্চারণ জনমনে কোনো আশ্বাস জাগাতে পারে না। বিজ্ঞপ্তি