নদী রক্ষার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগোতে হবে: কাজী খলীকুজ্জমান

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে মুক্তির জন্য আঞ্চলিক অভিন্ন নদী ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক নদী গবেষক, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান। তিনি বলেন, ‘এজন্য বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, তার ভিত্তিতে নদী ব্যবস্থাপনায় জোর দিতে হবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগোতে হবে।’ রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত ‘নদী বাংলাদেশের জীবন: নদী বাঁচাই, পরিবেশ বাঁচাই, দেশ বাঁচাই’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, ‘নদী রক্ষায় ১৯৯৯ সালের পানি নীতি এবং ২০১৩ সালের পানি অ্যাক্ট বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে নদী সমস্যার সমাধান করা জরুরি। তার জন্য সবার আগে যেকোনও পরিকল্পনার সঙ্গে ভুক্তভোগীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। অভিন্ন নদী ব্যবস্থাপনায় গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীকে গুরুত্ব দিয়ে এগোতে হবে। পাশাপাশি চীনের সাঙ্গু থেকে যমুনার যে প্রবাহ সে বিষয়েও পদক্ষেপ নিতে হবে। গঙ্গা চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার যে ধারা আছে, তাতে নজর দিতে হবে।’ চার হাজার ৪৫৩ জন নদী দখলকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নদীকে রক্ষা করতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বালি উত্তোলন ও বর্জ্য ফেলা নিয়ন্ত্রণ করে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এগোতে পারলে অবশ্যই নদীকে আমরা বাঁচাতে পারবো।’ ওয়েবিনারে সভাপতির ভাষণে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র, পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা দিয়ে প্রবহমান অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ জরুরি। তা না হলে জলবায়ুর অভিঘাত থেকে আমরা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষা পাবে না। নদী রক্ষার লড়াইকে রাজনৈতিক লড়াই হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।’ ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য রাখেন—ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, তিস্তা রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম হাক্কানী, প্রকৌশলী মুহাম্মাদ হেলালুজ্জামান হেলাল প্রমুখ।