চুকনগর বাসষ্ট্যান্ডের যশোর রোডে পানি জমে থাকার কারনে যানবাহন চলাচলে দারুন ভোগান্তি

0

এম রুহুল আমীন। ডুমুরিয়া (খুলনা)॥ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাসষ্ট্যান্ড অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থœান। খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা এই তিনটি জেলার সংযোগস্থল হল চুকনগর বাসষ্ট্যান্ড। এর উপর উপর দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন রুটের সহ¯্রাধিক যানবাহন চলাচল করে। যার মধ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দুই শতাধিক দুরপাল্লার বাস রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে। আর এসব দুরপাল্লার সকল বাসগুলোর যাত্রাবিরতি ও যাত্রী ওঠা নামার ষ্টপেজ হল যশোর রোড। কিন্তু মুল বাসষ্ট্যান্ড থেকে যশোর অভিমুখে প্রায় ২০০ মিটার রাস্তার অবস্থা অত্যান্ত করুন। এই ২০০ মিটার এলাকাতে ৩০ফুট প্রশস্থ রাস্তার অর্ধেকের বেশি পানিতে তলিয়ে আছে। রাস্তার দ’ুপাশের ব্যবসায়ীদের খামখেয়ালীপনা ও অসচেতনতার কারনে পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থা বিঘিœত হচ্ছে। এর ফলে বিগত কয়েক বছর ধরে বৃষ্টি মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই পানিবদ্ধ অবস্থা বিরাজ করে। একারনে যানবাহন চলাচলে দারুন বিঘœ ঘটে, দির্ঘদিন পানি জমে থাকার ফলে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের র্সষ্টি হয়েছে যা উপর থেকে দেখা যায়না। এর ফলে প্রায় প্রতিদিনই গর্তের মধ্যে ছোট ছোট যানবাহন পড়ে গিয়ে দূর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া যখন দুরপাল্লার বাসগুলো যাত্রী উঠানোর জন্যে থামে তখন তার পাশ দিয়ে অন্য যানবাহন চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, ক্ষতি হচ্ছে রাস্তার দুই পার্শ্বের ব্যবসায়ীদেরও, বিশেষ করে উত্তর পাশে পানি জমে থাকা এবং পারাপারের ব্যাবস্থা না থাকার কারনে ওই পাশের ব্যবসায়ীরা রাস্তা পার হয়ে দক্ষিণ পার্শ্বে আসা যাওয়া করতে পারেনা। এতে করে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মেও সমস্যা হয়। এব্যাপারে জানতে চাইলে চুকনগর বাজার ব্যাবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি প্রহল্লাদ ব্রহ্ম বলেন, রাস্তাটির দুইপার্শ্বে দুটি ছোট ড্রেন রয়েছে। ওই ড্রেন দুটিকে টেনে নিয়ে বাসষ্ট্যান্ড থেকে যতিন-কাশেম সড়কের পার্শ্বস্ত বড় ড্রেনে সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তাতে যশোর রোডে পানি জমে থাকার কথা নয়, তারপরও ব্যাবসায়ী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে প্রতি বছর ২/৩ বার ড্রেন দুটি পরিস্কার করা হয়। কিন্তু পরিস্কার করার পরপরই ওই রোডের ব্যাবসায়ীরা ড্রেনে ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করে ফেলে, এজন্যে ড্রেন পুনরায় পানি নিষ্কাশনের অনুপযোগী হয়ে যায়। আর বিশেষ করে রেণু পোনা ব্যাবসায়ীদের কাজই হচ্ছে পানি নিয়ে, তারা মার্চ থেকে শুরু করে আগষ্ট পর্যন্ত ব্যাবসা করে। এই সময় তারা ড্রেনে পানি ও ময়লা ফেলে ড্রেন ভরাট করে ফেলে এরপরই শুরু হয় বর্ষা মৌসুম, এজন্যে ওই পানি আর শুকায়না বা নিষ্কাশনও হয়না।