ঝলমলিয়া দিঘির সুপেয় মিষ্টি পানির ওপর নির্ভরশীল আট গ্রামের মানুষ

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ও রামপাল সংবাদদাতা ॥ বাগেরহাটের রামপাল ও মোংলা উপজেলার সীমান্তবর্তী হুড়কা ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের আট গ্রামের মানুষের সুপেয় পানির উৎস ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী ‘ঝলমলিয়া দিঘি’। দিঘির চারদিকে লবণাক্ত পানি। সারাবছরই দিঘিতে থাকে মিষ্টি পানি। দূর দুরান্ত থেকেও এই সুপেয় পানি নিতে ছুটে আসেন শ-শ নারী ও পুরুষ। আবার এই পুকুরের পানি বিক্রয়ের মাধ্যমে জীবীকা নির্বাহ করেন অনেকে। এই দিঘির সুপেয় মিষ্টি পানির ওপর নির্ভরশীল এখানকার হাজার হাজার পরিবার। কিন্তু দিঘিতে শ্যাওলা ও কচুরিপানা বেড়ে ওঠায় পানি সংগ্রহ করতে ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে। শনিবার সকাল থেকে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে দিঘির কচুরিপানা পরিষ্কাকের কাজ শুরু করেন। নিরাপদ পানি পরিষ্কার রাখতে প্রতি বছরের মত এবারও অনুরূপভাবে ঝলমলিয়া দুর্গা মন্দির কমিটির আয়োজনে ও স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে শতাধিক জনগণ এই কচুরিপানা পরিষ্কারে অংশগ্রহণ করেন। শতাধিক লোকের এই দিঘির কচুরিপানা পরিষ্কার সম্পন্ন করতে আরও লাগবে অন্তত চারদিন। ১৬ বিঘা দিঘির সুপেয় পানি রার্থে এই উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়েছে হুড়কা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার।
স্থানীয় শিবানন্দ রায়, এটিইও পুষ্পজিৎ মন্ডল, অ্যাডভোকেট দিব্যেন্দু বোস বলেন, চারিদিক নোনাজলে বেষ্টনী পানি সারাবছরই থাকে মিষ্টি। দূর দুরান্ত থেকেও এই সুপেয় মিষ্টি পানি নিতে ছুটে আসেন শ-শ মানুষ। আবার এই পুকুরের পানি বহন করে তা বিক্রয়ের মাধ্যমে জীবন বাঁচে অনেক পরিবারেরও। পুকুরে গোসল, হাত-মুখ ধোয়া, গবাদিপশু পুকুরে নেমে পানি নষ্ট করা, ময়লা আবর্জনা ফেলা, পুকুরের মাছ নিধন সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ। ঐতিহ্যের এই পুকুর সংস্কার ও সুপেয় পানি নিরাপদ রাখতে তাই স্থানীয়দের সমন্বয়ে নেই কোন কার্পণ্যতা। ঝলমলিয়া দিঘির শ্যাওলা ও কচুরিপানা পরিষ্কারে অংশগ্রহণ করেন, সুজন মজুমদার, মহানন্দ হালদার, ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ মোড়ল, শিশির মন্ডল, মতিউর সরদার, রিপন মন্ডল, অয় বিশ্বাস, স্বপন মন্ডল, বিধান রায়, শ্যামলি মন্ডল, প্রণব সমাদ্দার, সুকির্তি মন্ডল, আশিষ মন্ডল, প্রফুল্ল মন্ডল, বিভাষ মন্ডল, স্বপন বিশ্বাস, শেখর চৌধুরী, জিতেন মন্ডল, অসিত বিশ্বাস, সুধন্য মন্ডল, সুচন্দনা মজুমদার, গায়েত্রী বিশ্বাস, মিঠুন বাছাড়, বিশ্বজিৎ মন্ডল, নিতা মন্ডল, গোপেশ্বরি বাছাড়, বাসন্তি, কবিতা প্রমুখ। হুড়কা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিচিত্র বীর্য পাড় বলেন, ‘ঐতিহ্যের এই পুকুর সংস্কার ও দেখভাল সর্বদাই করে থাকি। আমাদের নির্ভরতার সুপেয় পানির একমাত্র এই ঝলমলিয়া দিঘিই ভরসা। তাই এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে প্রতিবছরই পুকুরের শ্যাওলা ও কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয়ে থাকে। যে কোনো মূল্যে আমাদের এই পুকুরের পানি নষ্ট না হয় সেজন্য আমরা সবাই সচেতনতা অবলম্বন করি।’