যশোর শহরের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে বিপজ্জনক এলপি গ্যাস

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যশোর শহরে যত্রতত্র বিক্রি করা হচ্ছে বিপজ্জনক এলপি গ্যাস। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই। অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপক আইন ২০০৩ এর নীতিমালা অনুযায়ী সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। দাহ্য পদার্থ বিক্রির ক্ষেত্রেও ট্রেড লাইসেন্সের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানেরও নিজস্বভাবে আগুন নির্বাপনের সক্ষমতা থাকতে হবে। কোন আবাসিক এলাকায় দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবে না। এমনকি জনবহুল এলাকাতেও না। এ সকল নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে যশোর শহরের যত্রতত্র বিক্রি করা হচ্ছে বিপদজ্জনক দাহ্য পদার্থ এলপি গ্যাস। আবাসিক এলাকার অলিতে গলিকে মুদি কিংবা অন্য দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস। শহরের ব্যস্ততম সড়কের পাশে জনবহুল এলাকাতেও গড়ে তোলা হয়েছে গ্যাস বিক্রির প্রতিষ্ঠান। আরএন রোড, শহীদ মশিয়ূর রহমান সড়ক, মুজিব সড়ক, রাজা বরদাকান্ত সড়ক, জেল রোডসহ অন্যান্য সড়ক জুড়েই গড়ে উঠেছে এসব প্রতিষ্ঠান। দোকানের ভিতরে যেমন গ্যাসের সিলিন্ডার মজুদ করে রাখা হয়েছে, তেমনি সড়কের জায়গা দখল করে সিলিন্ডার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কারবালা রোডের সরকারি মহিলা কলেজের কাছে এবং উপশহর মহিলা কলেজ সংলগ্ন আবাসিক এলাকাতেও সিলিন্ডার ভর্তি এলপি গ্যাস মজুদ করে রাখা হয়েছে। রেলবাজার, বেজপাড়া তালতলা বাজার, ধর্মতলা বাজার, ঘোপ বেলতলা বৌ-বাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলোতে গড়ে উঠেছে গ্যাস বিক্রির প্রতিষ্ঠান। যশোর শহরের পাড়া মহল্লার দোকানেও বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস। অনেক স্থানে দেখা গেছে, মুদি দোকানে ও মোবাইল রিচার্জের দোকানে গ্যাস বিক্রি হচ্ছে। মুনাফার লোভে যে যেমনি পারছে গ্যাস বিক্রি করছে। মানছেন না কোন নিয়মনীতি। এভাবে যত্রতত্র গ্যাস বিক্রির কারণে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। এ বিষয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা যততত্র গ্যাস বিক্রি না করার জন্যে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করি। নিয়মনীতি না মেনে গ্যাস বিক্রি করলে তাদের লাইসেন্স প্রদানে নিরুৎসাহিত করি। অনেকের লাইসেন্স পর্যন্ত নবায়ন করা হয় না। যত্রতত্র গ্যাস বিক্রির বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।