চৌগাছায় বলুহ মেলা নিয়ে সংশয় ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা

0

এম. এ. রহিম চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছায় শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পীর বলুহ দেওয়ান (রহ.) এর মেলা এবার হবে কি-না, তা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছরের ভাদ্র মাসের শেষ মঙ্গলবার এই মেলা বসে। এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে মেলা কমিটি অনুমোদন পাওয়া নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন। মেলা না বসলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এই বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এনামুল হক বলেন, ‘মেলা কমিটি অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি আবেদন করেছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাদের নিকট রিপোর্ট চেয়ে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন। যেহেতু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে, সেহেতু আবেদনের বিষয়টি সরেজমিনে দেখে পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দাখিল করলে মেলা বসবে কী না সে সিদ্ধান্ত দেবেন জেলা প্রশাসক মহোদয়’।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের হাজরাখানা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, মেলা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মিলন জানান, মেলার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুমতি নিয়ে মেলা কমিটির প থেকে যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। একইভাবে উরসের জন্য বলুহ দেওয়ানের (রহ.) মাজারের খাদেম অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসক চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে খোঁজখবর নিতে একটি নথি প্রেরণ করেছেন। আশা করছি, আমরা সীমিত আকারে হলেও মেলার অনুমতি পাবো। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে অনুমতি তিন থেকে ১৫ দিনের হয়েছে। চলতি বছর করোনা ভাইরাসের কারণে মেলা নিয়ে সংশয় আছি। মেলায় যারা দোকানপাট দেন সে সব ব্যবসায়ীরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলেও তাদের সন্তোষজনক জবাব দিতে পারছি না। প্রতিবছর স্থানীয়দের সহযোগিতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত পরিচালনা কমিটি মেলা পরিচালনা করে থাকে। ভাদ্র মাসের শেষ মঙ্গলবার মেলা শুরু হলেও মেলায় আগত আসবাবপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র বেচাকেনা শুরু হয় সপ্তাহখানেক আগে থেকেই। এ বছর মেলার অনুমতি দেওয়া হবে কী না এমন সন্দেহ রয়েছে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর। তাদের কেউ কেউ বলছেন, দেশের পর্যটন ¯পটগুলো যেহেতু খুলে দেয়া হচ্ছে, সেহেতু সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলার অনুমতি হয়তো দেয়া হতে পারে। আবার কারো অভিমত, করোনা ভাইরাস এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি এ অজুহাতে যদি মেলার অনুমতি না দেয়া হয় তাহলে জাতীয় ও স্থানীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। পীর বলুহ দেওয়ানের (রহ.) রওজা শরীফকে ঘিরে চৌগাছা উপজেলার হাজরাখানা গ্রামে কপোতা নদের তীরে বসে এই মেলা। হাজরাখানা গ্রামে কপোতা নদের পাশে উঁচু ঢিবির ওপর এ অঞ্চলের পীরে কামেল বলুহ দেওয়ান (রহ.)-এর রওজা শরীফ অবস্থিত। মেলার সময় এলে হাজরাখানা ছাড়াও আশপাশের গ্রামগুলোতে পড়ে যায় ব্যস্ততার ধুম।