যশোরে অস্থায়ী মাকের্টের নামে আবার শুরু হচ্ছে পুনাক মেলা

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ করোনার মধ্যেই যশোরে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) নামে মেলার আদলে আবার তিনমাসব্যাপী অস্থায়ী মার্কেট বসছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কয়েকমান আগে এই মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ১ সেপ্টেম্বর থেকে অস্থায়ী মার্কেটের নামে শুরু হতে যাচ্ছে এই মেলা। এ নিয়ে যশোরের ব্যবসায়ীদের মাঝে বিরাজ৭ করছে চাপা ক্ষোভ। শহরের গাড়িখানা রোড়ের পাশের পুলিশ বিভাগের মাঠে আয়োজিত মার্টেকের স্টল মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্বের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই অস্থায়ী মার্কেট। চলতি বছরের প্রথম দিকে ইডেন ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে এখানে শুরু হয় মাসব্যাপী আনন্দ মেলা। করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্টল মালিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ এই অস্থায়ী মার্কেট বসানোর অনুমতি প্রদান করে। স্টল মালিকরা বলছেন, এটি অস্থায়ী পুনাক মার্কেট। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি মেলার আদলে চলবে। কৌশল হিসেবে কোন প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে না। মাঠের প্রবেশ মুখেও নেই কোন সাইনবোর্ড কিংবা বিল বোর্ড। অস্থায়ী মার্কেটের নামে শুরু হতে যাওয়া ওই মেলা প্রাঙ্গনে বসবে ৬০ থেকে ৭০টি স্টল। ঢাকা, রংপুরসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা তাদের নিজ নিজ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। যেখানে ফাস্টফুড থেকে শুরু করে পোশাক, কসমেটিকস, গৃহসজ্জাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী স্থান পাচ্ছে। কেউ কেউ স্টল প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন, এক তারিখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনসমাগমের মধ্য দিয়ে তাদের ব্যবসা জমজমাট হবে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে করোনা সংক্রমণ যা হয় হোক, তাদের কিছু আসে যায় না। অথচ দেশের অন্যান্য স্থানের মত যশোরের করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। স্থায়ী মাকের্টের নামেই এই মেলার কারণে সেখানে জনসমাগম বাড়বে এবং সংক্রমণের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাবে। এ কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বরাবরই করোনার বিস্তার ঠেকাতে জনসমাগম এড়িয়ে চলার কথা বলা হচ্ছে।
এদিকে পুনাকের নামে অস্থায়ী মার্কেট বসানোকে কেন্দ্র করে যশোরের ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, করোনা প্রার্দুভাবের শুরু থেকে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য চরম মন্দাভাব বিরাজ করছে। কোন ভাবেই দারা এই মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। তার মধ্যে পুনানের এই অস্থায়ী মার্কেট তাদের ব্যবসায়িক মন্দাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। ওই স্টল মালিক বলেন, বছরের শুরুতে আমরা এখানে মেলা বসানোর পর করোনার কারণে বন্ধ হয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হই। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জেলা পুলিশ তিন মাসের মার্কেট বসানোর সুযোগ দিয়েছে। মার্কেটে করোনা ঝুঁকি বাড়াতে কিনা এমন প্রশ্নে যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, সরকারের নির্দেশনা আছে জনসমাগম এড়িয়ে চলা। যেহেতু মেলার মাঠে সাধারণ জনসমাগম হয়ে থাকে সেহেতু এই সময়ে মেলা হলে সংক্রমণের ঝুঁকি না বাড়ার কোন কারণ নেই। এ বিষয়ে যশোর পুলিশ সুপার মো: আশরাফ উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু আগের মতই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই অস্থায়ী মার্কেট বসানো হচ্ছে। সেখানে স্টল থাকবে কম জনসাধারণের প্রবেশ হবে সীমিত। প্রবেশ মুখে জীবানুনাশক থাকবে। সকলকে মাস্ক ব্যবসার করে প্রবেশ করতে হবে।