মোংলা-রামপালে ২০২টি পানি বিশুদ্ধকরণ ইউনিট হচ্ছে, জানে না প্রশাসন

0

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥  মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে সোলার ডিস্যালিনেশন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা এবং রামপাল উপজেলায় ২০২টি স্বয়ংক্রিয় সৌরচালিত পানি বিশুদ্ধকরণ ইউনিট স্থাপন করা হবে। এক মাস আগে থেকে মোংলায় কাজ শুরু হলেও স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা এ প্রকল্প সম্পর্কে কোনো কিছুই জানেন না। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন শাখা-২ এর উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান ২ অক্টোবর ২০১৯ স্বাক্ষরিত প্রশাসনিক আদেশ এর (স্মারক নং-২২.০০.০০০০.০৮৬.১৪.০৮৮.১৯.৪৩০) মাধ্যমে জানা যায়, মোংলা-রামপাল উপজেলায় সোলার ডিস্যালিনেশন প্লান্ট স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দুস্থ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ করা হবে।
৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২টি স্বয়ংক্রিয় সৌরচালিত পানি বিশুদ্ধকরণ ইউনিট স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের মূল মেয়াদকাল হচ্ছে সেপ্টেম্বর ২০১৯ হতে ডিসেম্বর ২০২০। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা হলো বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট। প্রশাসনিক আদেশে প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়ন এলাকায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে কর্তৃক অনুমোদিত প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট তথ্য সম্বলিত দৃশ্যমান সাইনবোর্ড স্থাপন করার কথাও বলা আছে।
প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প এর ডিপিডি ইসকান্দার হোসেন বলেন, এক মাস আগে মোংলা উপজেলায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং তা চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে রামপাল উপজেলায় শুরু হবে। এটি মন্ত্রণালয়ের কাজ। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে ঢাকায় আসতে হবে। প্রকল্পের কাজের বিষয়ে মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার এবং বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র রায় বলেন কিসের প্রকল্প, কি কাজ, কোথায় হচ্ছে কিছুই জানি না। মোংলা উপজেলা নির্বাহি অফিসার কমলেশ মজুমদার বলেন, প্রকল্পের বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে শুনেছি এবং এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। জানতে পারলে অবশ্যই জানাবো। প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ে উপজেলা পাবলিক হেল্থ ইঞ্জিনিয়ার সোহান আহমেদ বলেন, প্রকল্পের টেন্ডার জটিলতায় কাজ স্থগিত হয়ে আছে জানতাম। এছাড়া আর কিছুই জানি না। এ বিষয়ে ডেপুটি প্রকল্প ডিরেক্টর ইসকান্দার হোসেন বলেন, এটি পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারের কাজ না এবং তার এ বিষয়ে জানার কথা না।