শর্ত কার্যকরে পদক্ষেপ নেই দিগুণ যাত্রী দ্বিগুণ ভাড়া নীতিতে চলছে ইজিবাইক

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ প্রশাসনের বেধে দেয়া শর্ত মানতেন না যশোর শহরের ইজিবাইক চালকরা। তারা যাত্রী বহন করছেন দ্বিগুণ, ভাড়াও আদায় করছেন দ্বিগুণ। যাত্রীরা এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে মারমুখি আচরণের শিকার হচ্ছে বাকবিতন্ডা হাতাহাতি। ট্রাফিক পুলিশ এসব দেখেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। দেশব্যাপী করোনা বিস্তৃতির কারণে গত মার্চে ইজিবাইক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে পৌর কর্তৃপক্ষ কর্মহীন চালকদের রুটি রুজি ও পরিবার পরিজনের বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের শর্ত সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি দেয়। এসব শর্তের মধ্যে ছিল, যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব মেনে বাইক চালাতে হবে। এক্ষেত্রে একটি বাইক সর্বোচ্চ তিনজন যাত্রী বহন করতে পারবে। তবে ভাড়া হবে দ্বিগুণ। এছাড়া সড়কে যানজট ও মানুষের ভিড় এড়াতে শহরে মোট বাইকের অর্ধেক চলাচল করতে পারবে। এটা নিশ্চিত করতে বাইকগুলোকে জোড়-বিজোড় ভাগ করে দেয়া হয়। যে দিন জোড় নাম্বারধারী চালকরা চলাচল করবে, সেদিন বিজোড় নাম্বারধারীরা চলতে পারবে না। এসব তদারকির জন্যে পৌর কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অবহিত করে। পৌর কর্তৃপক্ষের এই নিদের্শনা মেনে ইজিবাইক সপ্তাহখানেক চলাচল করে। এরপর শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে দ্বিগুণ যাত্রী বহন করতে থাকে। ভাড়াও আদায় করে দ্বিগুণ। জোড়-বিজোড় নিয়মটিও মানা হচ্ছে না। তাদের সেই শর্ত ভেঙ্গে চলাচলের ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। শহরে আগের মতই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। চাঁচড়া চেকপোস্ট, সিভিল কোর্ট মোড়, মনিহার চত্বর, মুড়লি মোড়, উপশহর খাজুরা বাসস্ট্যান্ড, পালবাড়ী মোড়, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন স্থান ও সড়ক ঘুরে তাদের অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও ভাড়া আদায়ের বিষয়টি জানা যায়। এ নিয়ে যাত্রী ও চালকরা প্রায়ই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছে। যাত্রীদের প্রশ্ন, যাত্রী যদি আগের মতই বহন করে তাহলে ভাড়া কেন দ্বিগুণ হবে। ট্রাফিক পুলিশ বা পৌরসভার কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ এক্ষেত্রে কোন ভূমিকা পালন করছে না।
এদিকে পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, তাদের লাইসেন্সধারী বাইক বা চালকের সংখ্যা ২ হাজার ৮৪৫। কিন্তু বাস্তবে প্রতিদিন শহরে এর অনেক বেশি বাইক চলাচল করছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইজিবাইক চালক ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শর্তভঙ্গ করে বাইক চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছে খোদ ট্রাফিক পুলিশ। বিশেষ করে জোড়-বিজোড় কিংবা শর্তভঙ্গকারী চালকরা ধরা পড়লে কিছু ট্রাফিক পুলিশ টাকা নিয়েই ছেড়ে দিচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রীবহন ও ভাড়া আদায়ের বিষয়ে যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলে, ইহিবাইক চালকরা আগের মত চলাচল করার জন্যে আবেদন দেিয়ছে। আমরা মেয়র মহোদ্বয়ের সাথে কথা বলে এর সমাধান করে দেবো। কারণ বাজারঘাট সবকিছু আগের মতই স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
একই বিষয়ে যশোর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহবুব কবির বলেন, আমি এখানে নতুন। জোড়-বিজোড় বিষয়টি শুনেছি। আমি যতদূর জানি সবকিছু ঠিকঠাক তদারকি হচ্ছে। কোন ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।