বৈশ্বিক ব্ল্যাক টি উৎপাদন কমেছে ৮%

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী ও লকডাউনের প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক ব্ল্যাক টি উৎপাদনে। কেনিয়া বাদে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকাসহ বেশির ভাগ দেশে পানীয় পণ্যটির উৎপাদনে মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ব্ল্যাক টির বৈশ্বিক উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশের
বেশি কমেছে। গ্লোবাল টি ডাইজেস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিজনেস লাইন। চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে বিশ্বজুড়ে ৮৩ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ কম। ২০১৯ সালের একই সময়ে পণ্যটির বৈশ্বিক উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯০ কোটি ৬১ লাখ কেজি। এক বছরের ব্যবধানে ব্ল্যাক টির বৈশ্বিক উৎপাদন কমেছে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার কেজি।
এ সময় ভারতে সব মিলিয়ে ৩৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ কম। ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশটিতে পানীয় পণ্যটির উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৪৭ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার কেজি।
এর মধ্যে আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোয় চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে সব মিলিয়ে ২৪ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম। গত বছরের একই সময়ে এ অঞ্চলে পানীয় পণ্যটির উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩৭ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার কেজি।
অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটকসহ ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোয় চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে সব মিলিয়ে ৯ কোটি ৮৪ লাখ ৩০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ কম। গত বছরের একই সময়ে এ অঞ্চলে পানীয় পণ্যটির উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার কেজি।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে শ্রীলংকায় পানীয় পণ্যটির উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে ১২ কোটি
৮৬ লাখ ৪০ হাজার কেজিতে নেমে এসেছে। গত বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে দেশটিতে মোট ১৫ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছিল।
একই চিত্র দেখা গেছে বাংলাদেশেও। বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্ল্যাক টি উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে ২ কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার কেজিতে নেমেছে, আগের বছরের একই সময়ে দেশে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশে ব্ল্যাক টির উৎপাদন কমেছে ৬১ লাখ কেজির বেশি।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাওয়ি। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশটিতে ৩ কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ১৭ শতাংশ কম। ২০১৯ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে দেশটিতে মোট ৩ কোটি ৪৭ লাখ কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছিল।
তবে করোনাকালে বেশির ভাগ দেশে পানীয় পণ্যটির উৎপাদন কমে এলেও একমাত্র ব্যতিক্রম কেনিয়া। বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশটিতে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশটিতে মোট ২১ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার কেজি ব্ল্যাক টি উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে ব্ল্যাক টির উৎপাদন বেড়েছে আট কোটি কেজির বেশি।