যশোরে করোনায় মৃতদেহ সৎকার সেবাকার্য বিষয়ক মতবিনিময় সভা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে করোনায় মৃতদেহ সৎকার সেবাকার্য বিষয়ক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশনের সার্বিক সহযোগিতায় সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ যশোরের উদ্যোগে করোনা মৃতদেহ সৎকার সেবাকার্য সেবাসংঘের উদ্যোগে সোমবার বিকেলে আশ্রমের পাঠাগারে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। সভাপতিত্ব করেন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য দেন আশ্রমের সহ সম্পাদক আত্মবিভানন্দ মহারাজ। করোনা মৃতদেহ সৎকার সেবাকার্য সেবাসংঘের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ যশোরের প্রধান সমন্বয়ক বিজন কুমার চৌধুরী। আলোচনা করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক যোগেশ দত্ত, করোনায় আক্রান্ত হয়ে সদ্য সুস্থ হওয়া ডাক্তার বিধান কৃষ্ণ সাহা। সভায় পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিত্ব করেন যশোর কোতয়ালী মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন প্রেস কাব যশোরের সাবেক সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি প্রণব দাস প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন আশ্রমের সদস্য পঙ্কজ দে।
সভাপতির বক্তব্যে স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ মহারাজ বলেন, বর্তমানে বৈশি^ক মহামারি সকলেই আতঙ্কগ্রস্ত ও বিপর্যস্ত। এরই প্রেক্ষাপটে প্রতিটি দেশের সরকার, জনগণ সকলেই অসহায় লোকদের পাশে সেবায় নিয়োজিত। তারই ধারাবাহিকতায় মহামারির প্রথম পর্যায় থেকেই রামকৃষ্ণ মিশনও তাদের সামর্থ নিয়ে সেবাকার্য শুরু করে। তিনি বলেন, লক্ষ্য করা গেছে, করোনায় মৃত বিশেষ করে সনাতন ধর্মের মানুষদের শ্মশানে নিয়ে সৎকারের জন্য এগিয়ে আসতে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছে। বিশেষ করে অসহায় ও দরিদ্রদের জন্য এ বিষয়টা এক গুরতর সমস্যা। এ জন্য রামকৃষ্ণ শিশন ও সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের নির্ভিক সদস্যগণ করোনায় মৃতদের সৎকার করার মত সেবাকাজে এগিয়ে এসেছে। তিনি এ সেবাকার্যে স্থানীয় প্রশাসন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
রামকৃষ্ণ মিশনের সার্বিক সহযোগিতায় সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ যশোরের এমন উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশ^াস দেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।  তিনি বলেন, করোনা রোগে মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকার বা দাফন প্রক্রিয়া রোগীর পরিবার এবং জনসাধারণের জন্য খুবই সংবেদনশীল। এই কাজে যেকোন অব্যবস্থাপনা, মতপার্থক্য জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। যেকোন রকম ব্যবস্থাপনার আগে অবশ্যই রোগীর পরিবারকে মৃতদেহ সৎকারের প্রক্রিয়াটি জানাতে হবে। মৃত ব্যক্তির পরিবারকে জানাতে হবে যে মৃতদেহকে ধর্মীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শনের অধিকার তাদের আছে। সৎকার বা দাফন প্রক্রিয়া শুরুর আগে নিশ্চিত হতে হবে যে মৃত ব্যক্তির পরিবার সৎকারের প্রক্রিয়ার সাথে একমত আছেন। তিনি বলেন, এ ব্যপারে গাইডলাইন রয়েছে। গাইডলাইন মোতাবেক সৎকারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তিনি সকলকে স্বাস্থবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।