শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা ॥ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত সেমিপাকা ঘর পেয়ে আদিবাসীরা খুব খুশি। এ ঘর যেন তাদের কাছে স্বপ্নের মত। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য আদিবাসীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ১০ টি ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ পায় শৈলকুপা উপজেলা। উপজেলা প্রশাসনের পে যাচাইপূর্বক ‘জমি আছে ঘর নাই’ এমন ১০ জন অসহায় আদিবাসীর মধ্যে এ ঘর বণ্টন করা হয়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ঘরের দৈর্ঘ্য ২২ ফুট ও প্রস্থ ১০ ফুট। বারান্দার দৈর্ঘ্য ২২ ফুট ও প্রস্থ ৫ ফুট। ঘরের মাঝে পার্টিশন, ৪ টি জানালা, ২ টি দরজা এবং প্রতি ঘরে টিনের ছাউনি দেয়া হয়েছে। উন্নতমানের স্টিলের জানালা-দরজা লাগানো হয়েছে। ঘরের ভিত্তি ও গাথুনিতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের এক নম্বর ইট ও বালি। ঘরগুলো দেখতে সুন্দর ও পরিপাটি। শৈলকুপার দিগনগর ইউনিয়নের সিদ্ধি গ্রামের সুমিত্রা রানী বলেন, ভাবতেও পারিনি এত সুন্দর ঘর পাবো। সুন্দর মালামাল দিয়ে ঘর তৈরি করা হয়েছে। ঘর পেয়ে আমরা ভীষণ খুশি। একই গ্রামের মিঠুন সরকার বলেন, আমরা অসহায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। সরকার আমাদের এত সুন্দর ঘর তৈরি করে দেবে ভাবতেই অবাক লাগছে। একই ইউনিয়নের আগুনিয়াপাড়ার নগেন সরকারের মেয়ে সুমিতা রানী বলেন, খুবই কষ্টে ছিলাম ছেলে মেয়ে নিয়ে। এই ঘর পেয়ে কষ্ট লাঘব হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত সেমিপাকা ঘরগুলোতে উন্নতমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার এবং প্রকৃত অসহায় আদিবাসীদের মধ্যে ঘরগুলো বণ্টন করা হয়েছে’।