যশোর মেডিকেল কলেজের সেই এসি খুলে ফেলা হলো

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ আইন অমান্য করে যশোর মেডিকেল কলেজের ১৩ ও ১৪ গ্রেডের কমর্চারীদের কে লাগানো টেন্ডার জালিয়াতির মাধ্যমে কেনা এসি খুলে ফেলা হয়েছে। অনিয়মের এ বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার দৈনিক লোকসমাজ ও একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর গত দু’দিনে রাতের আঁধারে খুলে ফেলা হয় এসিগুলো। একই সাথে প্রায় তিনবছর ধরে বন্ধ থাকা কলেজ ক্যান্টিনে লাগানো কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও অপসারণ করা হয়েছে। খুলে ফেলা এসব এসিগুলো রাখা হয়েছে প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায়।
সংবাদ প্রচারের পর অভিযুক্ত এক কর্মচারীর নেতৃত্বে এসিগুলো খোলা হলেও নেয়া হয়নি কর্তৃপরে অনুমতি। এ ঘটনায় মেডিকেল কলেজের শিক-কর্মচারীদের মধ্যে চলছে তোলপাড়। মেডিকেল কলেজের অধ্য অধ্যাপক ডা. আক্তারুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পর পরবর্তী পদপে গ্রহণ করা হবে। সরকারি নীতিমালা অনুয়ায়ী ষষ্ঠ গ্রেডের নিচের কর্মকর্তাদের কে এসি থাকার কথা নয়। অথচ কম্পিউটার ও ফটোকপি মেশিনের সুরার অজুহাত দেখিয়ে গেল মাসে যশোর মেডিকেল কলেজে ১৩ ও ১৪ গ্রেডের চার কর্মচারীর কে এসি লাগানো হয়। সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকদের কে একই সরঞ্জাম থাকলেও গরম নিবারণে তাদের ভরসা বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস। এমনকি আটটি ল্যাবের সব কয়টি এখনও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার আওতায় আসেনি। আর প্রায় দুই কোটি টাকার ১২৪ টনের এসি ক্রয়েও নেয়া হয় অনিয়মের আশ্রয়।