চৌগাছার কড়ইতলা-কয়ারপাড়া রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইট-খোয়া, বালির পরিবর্তে মাটি !

0

এম. এ রহিম চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছায় কড়ইতলা-কয়ারপাড়া পাকারাস্তার কাজে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের ইট, খোয়ার সাথে বালির পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো কাজ হয়নি। জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী এক নেতার আত্মীয়। তাই তিনি কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই এক প্রকার গায়েরজোরে খেয়াল খুশিমতো কাজ করছেন। উপজেলার সদর চৌগাছা ইউনিয়নের কড়ইতলা-দক্ষিণ কয়ারপাড়া ইটের রাস্তা পুনঃপাকাকরণ কাজে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক।
চৌগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা সোহাগ হোসেন, হিরো আহমেদ, ফারুখ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা গ্রাম হবে শহর। সে অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক পাকাকরণের কাজ চলছে। কিন্তু এসব রাস্তার কাজ শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তারা নিম্নমানের ইট, খোয়ার সাথে বালির পরিবর্তে মাটি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে খোয়া থেকে বালি বেশি এবং পুরাতন ইট ব্যবহারসহ নানা ধরনের অনিয়ম করছেন। তারা বলেন, এ রাস্তায় বালি না দিয়ে মাটি ছিটিয়ে লেভেল করার চেষ্টা চলছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি’। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা বি.এম উজ্জ্বল হোসেন বলেন ‘ইট, বালি, খোয়া কোনোটাই ঠিক নেই। যে পরিমাণ খোয়া ব্যবহার করার কথা, তার চেয়ে অনেক কম দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার নিম্নমানের। বালির অবস্থাও খোয়ার মতো। রাস্তার দুই পাশে এক নম্বর ইট দিয়ে রেইজিং করার কথা থাকলেও করা হচ্ছে দুই নম্বর ইট দিয়ে, কোনো কোনো স্থানে দেওয়া হচ্ছে তিন নম্বর ইট’। কড়াইতলা বাজারের কয়েকজন দোকানদার জানান, এ রাস্তার কাজে একেবারেই শুভঙ্করের ফাঁকি চলছে। তার বলেন, এ রাস্তাটির কাজ দেখভাল করতে উপজেলা এলজিইডি অফিসের কাউকে কোনো দিন আসতে আমরা দেখিনি। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে ফোনে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বরং উল্টো যারা অভিযোগ করেছেন তারইি উল্টো ধমক খেয়েছেন। এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মঈনুল হাসান বাচ্চুর মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় তার ম্যানেজার আবুল কাশেম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ঠিক নয়। তারা নিয়ম মতো কাজ করছেন। ভালোভাবে কাজ করার জন্য তার কড়া নির্দেশনা রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমার লোক নিয়মিত কাজ দেখভাল করছে। আমি অনিয়মের কোন অভিযোগ পাইনি। আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম খোয়ার সাথে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।