যশোরে মৃত্যুর পর আরও তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত : আক্রান্ত ৪৪

0

বিএম আসাদ ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যাওয়া আরও ৩ জন নারী ও পুরুষের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে যশোরে মোট ১২ জন কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যুবরণ কর লেন। এদিকে, গতকাল এ জেলায় চিকিৎসক, সেবিকা, ব্যাংকার, ডিসি অফিসের কর্মচারী, এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আরও ৪৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে যশোরে মোট ৫শ’ ৯৯ জন কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের ভেতর যশোর সদর ও শহরের অবস্থা ভয়াবহ। এখানে ৪৪ জনের ভেতর একদিনে ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
যশোর সিভিল সার্জন অফিস ও ২৫০ শয্যা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুন রাতে হাসপাতালের পুরুষ করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে বৃদ্ধ হারান (৭০), সিরাজুল ইসলাম (৬৩) রওশন আরা (৭০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১শ’ ৩৬টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। এর ভেতর ৪৪ জন কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জনই করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত। হারান চন্দ্রের বাড়ি শহরের বেজপাড়ায়। ২৭ জুন সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর হারান চন্দ্র সাহা মারা যান। একইদিন রাতে আইসোলেশনে মারা যান সিরাজুল ইসলাম (৬৩)। রাত পৌনে ৮টার দিকে আইসোলেশনে ভর্তি করা হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সিরাজুল ইসলামের বাড়ি শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ায়। একইদিন ভোরে শহরের ঘোপ জেল রোড বাইলেন এলাকার হারুন সরদার (৫৬) মারা যান। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট গতকাল এসে পৌঁছেনি। এর আগে ২৬ জুন রওশনারা (৭০) মারা যান। তার বাড়ি শহরের বারান্দীপাড়ায়। এ ৩টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত ২৪ ঘন্টায়। একইদিন হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে কাজীপাড়ার শামীমুর রহমান মারা যান। এর আগে জিডিএল হসপিটালে শার্শা ও বেনাপোলের আবুল খায়ের (৭৩), মনিমুল ইসলাম (৭৫) মারা যান। মোট ৬ জনের মৃত্যু হয় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে। যশোরে মোট ১২ জনের মৃত্যু ঘটেছে কোভিড-১৯ সংক্রমণে। আক্রান্ত হয়েছে ৫শ’ ৯৯ জন। গতকাল নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ জন। এর ভেতর যশোর শহর ও সদর উপজেলায় ৩৫ জন, মনিরামপুরে ৭ জন ও ঝিকরগাছায় ২ জন। আক্রান্তদের ভেতর ১শ’ ৬২ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডা, হালিমাতুজজোহরা (৩৬), সিনিয়র স্টাফ নার্স রিংকু রাণী দাস (৩৫), সুমিত্রা রাণী (৫৩) রয়েছে। ডিসি অফিসে কর্মরত অসীম (৫১), যশোর তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক, উপশহর ২ নং সেক্টরের জাফর আলী (৫২), ইসলামী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা মো. হারুন-অর-রশিদ (৪৮), যশোর বিএমএ’র কর্মচারী বাদল (২৮), এলিকোতে চাকরিরত আবু নাসির (৪৭), চীন ফেরত ব্যবসায়ী মেহেদী মো. ফয়সাল (৩৪), মনিরামপুরের স্বাস্থ্য সহকারী হাকোবার সুচিত্রা বিশ্বাস (৫০), র‌্যাব ও পুলিশসহ মোট ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। ৪৪ জন ছাড়াও ১টি পজেটিভ রিপোর্ট ছিল ফলোআপ। সব মিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৬শ’ জন।