দমন-পীড়ন চালিয়ে ব্যর্থতার দায় ধামাচাপা দেয়া যাবে না

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান বলেছেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় এড়াতে এবং ত্রাণ বিতরণে সরকারদলীয় নেতাদের দুর্নীতির খবর ঢাকতে নানামুখী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ও সাহসী কলম স্তব্ধ করে দিতে চায়। তাই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অপপ্রয়োগ শুরু করেছে। এভাবে দমন-পীড়ন চালিয়ে ব্যর্থতার দায় ধামাচাপা দেয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরকারের চরম ব্যর্থতা, ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে দমন পীড়নের প্রতিবাদ এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে প্রণোদনার আওতায় আনার দাবিতে আয়োজিত যুব বন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ ইলিয়াস হাসান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান সমাবেশে বলেন, সরকারের মন্ত্রীদের অযোগ্যতা আর অব্যবস্থাপনার কারণে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে, তারা চিকিৎসক ও সেবাকর্মীদের নিরাপত্তাটুকু নিশ্চিত করতে পারেনি। এমনকি করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালের কর্মীদের খাবার সংকটের মত দুঃখজনক ঘটনাও দেখতে হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও বাস্তবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য তা কতটুকু কাজে লাগবে, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ইতোমধ্যে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের হা হুতাশ শুরু হয়েছে, জমানো টাকা শেষ করে এখন তারা ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছে। সরকারের এদিকে নজর না থাকলে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অর্থাভাবে ইতোমধ্যে কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছে। সেদিকেও সরকারের কোনো দৃশ্যমান ভূমিকা নেই। বেকারদের জন্য অবিলম্বে নগদ অর্থ সহায়তা না দিলে দেশ চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রাহাজানির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে। যুব বন্ধনের সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন বলেন, ত্রাণের চাল, ডাল ও তেল চুরির মহা উৎসব চলছে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সতর্ক করার পরেও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এতে বোঝা যায় ভোট চুরিতে প্রশিক্ষিত বাহিনীর চাল চুরি এভাবে দমন করা যাবে না। তাই দেশের জনগণকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যুব বন্ধন থেকে ফ্রন্টলাইনে কাজ করা ডাক্তার, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং সাংবাদিকদের কেউ আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তাদের পরিবারকে উপযুক্ত অনুদান প্রদান, সকল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদেরকে বিশেষ অনুদান প্রদান, প্রাইভেট মাদরাসা স্কুলসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়ি ভাড়া মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং লকডাউনে বেকার যুবকদের বেকার ভাতা প্রদানের দাবি জানানো হয়। অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, যুবনেতা মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, শেখ মুহাম্মাদ নুর-উন-নাবী, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুহাম্মাদ মারুফ, মুফতী রহমতুল্লাহ বিন হাবিব, হাফেজ জহিরুল ইসলাম।