যশোর শহরের বকচরে গোলাগুলিতে দুজন পরিবহন শ্রমিক আহত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের বকচর হুশতলায় সোমবার গোলাগুলিতে জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক মিন্টু গাজী (৩৫) এবং পরিবহন শ্রমিক ইমদাদুল হক ইমাদুল (৫২) গুরুতর আহত হয়েছেন। এর মধ্যে মিন্টু গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজন হওয়ায় তাকে খুলনায় রেফার করেছেন চিকিৎসক। এলাকায় মিন্টু গাজী পক্ষীয় লোকজনের মাদক ব্যবসা ও জুয়া খেলার প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

বকচর হুশতলার আলাউদ্দিনের ছেলে ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমাদুল জানান, তিনি যশোর জেলার বাস মালিক সমিতির একজন স্টার্টার। যশোর ও বেনাপোলে তার কাউন্টার অফিস রয়েছে। তাদের বকচর হুশতলা এলাকায় মাদক ব্যবসা ও জুয়ার খেলাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকা- চালিয়ে আসছে মিন্টু গাজীর ভাই লাল্টু গাজী, খালাতো ভাই লিটনসহ তাদের সহযোগীরা। এলাকার নয়নসহ কয়েকজন যুবক এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হুমকি দিয়েছিলেন মিন্টু গাজী।

গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই ফকির ফেরদৌসকে এনে মিন্টু গাজী এলাকার প্রতিবাদী এক যুবককে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। পরে পুলিশের ওই কর্মকর্তা তার কাছ থেকে সবকিছু শুনে সেখান থেকে চলে যান। এ সময় মিন্টু গাজীর খালাতো ভাই লিটন তাকে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেয়। এ ঘটনার পর বিকেল ৩টার দিকে তিনি ইফতারি সামগ্রী কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বকচর হুশতলার কপোতাক্ষ চক্ষু হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে মিন্টু গাজীর নেতৃত্বে লিটন, সাইফুল, লাল্টু এবং মোল্লাপাড়ার চোর বিল্লাল আচমকা তার ওপর চড়াও হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি পালানোর চেষ্টা করলে সাথে সাথে মিন্টু গাজী তাকে ধরে ফেলেন। তার একটি হাত ধরে তাকে আটকে রাখেন।

এ সময় লিটন ও চোর বিল্লাল তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাকে গুলি চালায়। একটি গুলি তার বাম হাতের তালু ভেদ করে বেরিয়ে যায়। অপর একটি গুলি বাম হাতের কনুইয়ে আঘাত করে তা সরাসরি মিন্টু গাজীর পেটে গিয়ে লাগে। পরে স্থানীয় লোকজন দুজনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, গুলিবিদ্ধ মিন্টু গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, বকচর হুশতলায় গুলিতে এক শ্রমিক নেতা আহত হওয়ার সংবাদ শুনেছেন। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছেনা। তবে পুলিশ দুর্বৃত্তদের ধরতে এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মামুনুর রশিদ বাচ্চু জানান, মিন্টু গাজী তাদের সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং ইমাদুল সাধারণ সদস্য। দুজনে গুলিতে আহত হয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। এদিকে কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই ফকির ফেরদৌস জানান, সকালে তিনি বকচরে ৩টি মোবাইল ফোন চুরি সংক্রান্ত ঘটনায় একজনকে খুঁজতে গিয়েছিলেন। অপরদিকে মিন্টু গাজীর স্বজনেরা হাসপাতালে উপস্থিত থাকলেও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি না হওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।