লকডাউনের মধ্যে যোগীপোলে ৪র্থ শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ : থানায় মামলা

0

ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি ঃ নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন যোগীপোল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বিল্লালের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ৪র্থ শ্রেণীর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী(১৪)কে করোনা ভাইরাস ও মাহে রমজানকে উপেক্ষা করে গণধর্ষণ করেছে। এব্যাপারে ভিকটিমের মা হেলেনা বেগম বাদী হয়ে শনিবার খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল সন্ধায় বিল্লালের বাড়ীর ভাড়াটিয়া (১৪)কে একই বাড়ীর অপর ভাড়াটিয়া নাহিদের পুত্র আমিনুল(১৭),যোগীপোল ৭নং ওয়ার্ডের মৃত শহিদের পুত্র আজিজুল (২১) ও জাব্দীপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র পারভেজ(২৫) সুকৌশলে ডেকে নিয়ে পাশ্ববর্তী মুফতী মানসুরুর রহমানের পরিত্যাক্ত বাসভবনে নিয়ে এসে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে । এসময় মানসুরুর রহমানের পুত্র মোঃ সানাউল্লাহ দেখে ফেললে ভিকটিমকে খাটের নিচে লুকিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে সানাউল্লাহ ভিকটিমকে খাটের নিচথেকে বের করার সময় আসামীরা ভীকটিমের সাথে সানাউল্লাহর ছবি অসৎ উদ্যেশ্যে বিভিন্ন রকমের ভাবে মোবাইলে ধারণ করে। ঘটনার পরদিন আসামীরা তাঁর ঐ ছবি দেখিয়ে সানাউল্লাহর পিতা মানসুরুর রহমানের নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। পরবর্তীতে মানসুর রহমান ভিকটিম ও তার মা’য়ের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে সকল ঘটনা খুলে বলে যে, আমিনুল,আজিজুল,পারভেজ এরা তিনজন আমাকে জোর পূর্বক পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে আমি এবং সানাউল্লাহ বাধা দিতে গেলে আমাদের দুইজনকেই মারপিট করে। পরবর্তীতে শুক্রবার ভিকটিমকে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায় তার স্বজনরা। গাইনী বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে ভিকটিমকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে খানজাহান আলী থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রাথমিক ভাবে খুমেক হাসপাতালে যেয়ে ভিকটিমের নিকট থেকে জবানবন্ধী নেয়। ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান এঘটনায় ভিকটিমের মা হেলেনা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। যার নং- ০১, তারিখ- ০২/০৫/২০২০। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকাবাসী জানান উক্ত চক্রটি এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। এলাকাবাসী ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জোর দাবী জানান।