বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ১ মাস ৮ দিন বন্ধ থাকার পর বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে চালু হলো আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। প্রথম দিনের পণ্য চালানগুলো বাংলাদেশের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান উৎস এন্টারপ্রাইজ এবং ভারতের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধন এগ্রো’র।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটায় বেনাপোল-পেট্রাপোল লিংক রোডের নোম্যান্সল্যান্ডে ভারতীয় ভুট্টা, পান, পাটের ও মেসতার বীজ বোঝাই প্রথম ৩টি ট্রাকে আসা পণ্য, ভারতের ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে লোড করা হয়। এসময় বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর, বিজিবি, পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোক উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, পণ্য চালান লোড আনলোডের সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। সামাজিক দূরত্ব ও সুরক্ষা মেনেই কার্যক্রম চলার কথা থাকলেও তেমন কিছু চোখে পড়েনি। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ছাড়া আর কারো শরীরে পিপিই ছিল না। আমদানিকারক উৎস এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী উজ্জল রায় বলেন, প্রায় এক মাস ৮ দিন আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকার পর আমদানি বাণিজ্য চালু হলো। বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতের ব্যবসায়ী নেতা ও কাস্টমস, বন্দরের সাথে বসে বিশেষ ব্যবস্থায় এ পণ্য আনা হচ্ছে। তবে ভারতীয় কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছে না।
ভারতীয় ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাক বেনাপোল-পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে লোড করে নিয়ে আসছে।সময় মতো আমাদের এ পচনশীল মাল যদি গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারি তাহলে লোকশান গুনতে হবে বলেও জানান তিনি। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিম হাসান বলেন, দীর্ঘদিন পর বৃহস্পতিবার আবার আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। পচনশীল পণ্য হিসেবে ভুট্টা, পাটের ও মেসতা বীজ এবং পান জাতীয় পণ্য এসেছে। এগুলো বন্দরে নিয়ে আজই পরীক্ষণ শেষে শুল্কায়ন করা হবে এবং শুল্কায়নের পর পণ্য নিয়ে যাবে নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, আমরা বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কিছু আমদানি পণ্য নিয়ে আসতে পেরেছি। এরপর আস্তে আস্তে আরও পণ্য বৃদ্ধি পাবে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় আড়াই হাজারের মতো পণ্যবাহী গাড়ি আটকে আছে। আমরা সেগুলো পর্যায়ক্রমে নিয়ে আসব। যারা এখানে কাজ করছে তাদের মাস্ক ও পিপির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে স্বাস্থ্যকর্মীরাও রয়েছে। প্রথম দিন একটু সমস্যা হবে। পরে সব ঠিক হয়ে যাবে।