সরকারী দল নিয়ন্ত্রিত ১০টাকা কেজি দরের চালের রেশনকার্ডে জনগন বঞ্চিত : খুলনা বিএনপি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সরকারী দল নিয়ন্ত্রিত ১০টাকা কেজি দরের চালের রেশনকার্ডের বন্টন প্রক্রিয়ায় প্রকৃত হতদরিদ্র জনগন বঞ্চিত হচ্ছে। রেশনকার্ড বন্টনে রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় প্রকৃত হতদরিদ্র্যদের তালিকা প্রস্তুত না হওয়া, সরকারী কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকা, তালিকা প্রস্তুতিতে ধীরগতি হওয়া, বরাদ্দকৃত চালের সিংহভাগ বন্টন না হওয়া এবং ১০লাখ লোকের বসবাস খুলনা মহানগরীতে মাত্র ১৯ হাজার কার্ড বিলির সিদ্ধান্ত অপ্রতুল হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষপ্রকাশ করেছে খুলনা মহানগর বিএনপি।
প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, করোনা ভাইরাসে কর্মহীন নি¤œ আয়ের মানুষ দীর্ঘ একমাস গৃহবন্দী ও কর্মহীন। সরকারী ঘোষণা ছিলো ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হবে, ১০টাকায় চাল দেয়া হবে; তবে এসবের কোন সুফল পাচ্ছে না জনগন। বরং নি¤œআয়ের মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন পর করছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল দেশে রেশনকার্ডে খাদ্যশস্য বন্টন প্রক্রিয়ায় অস্বচছতা দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ নেমে এসেছিল। তখনও আওয়ামী সরকারের একলা চলো নীতি অবলম্বন করেছিল। বিবৃতি নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জনগনের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ ও খাদ্যদ্রব্য রাষ্ট্রীয় সম্পদ, এটা জনগনের অর্থে ক্রয় করা; আওয়ামীলীগের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ত্রাণ ও রেশন কার্ডের চাল বিলি হতে হবে সরকারী কর্মকর্তাদের তদারকিতে। হতদরিদ্রদের তালিকা প্রস্তুত অবশ্যই সরকারী কর্মকর্তা ও সেনা বাহিনীর তদারকিতে করতে হবে। প্রস্তুতকৃত তালিকা অবশ্যই নুতন করে ভেরিফাই করতে হবে। খুলনা শহরে কমপক্ষে দুই লাখ কর্মহীন নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য বরাদ্দ দিতে হবে। ওএমএস রেশনের দোকান বন্টনের ক্ষেত্রে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নির্বাচন করতে হবে।
বিবৃতিতে জনপ্রশাসনকে আওয়ামী দৃষ্টিভত্তি বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেছেন নি¤œ আয়ের মানুষের বেঁচে থাকার অন্ন নিয়ে দুর্নীতি অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ না হলে বিএনপি জনগনকে নিয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদুভাই, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, আব্দুল জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, মোঃ ইকবাল হোসেন, অধ্য তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এসএম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।