চৌগাছায় করোনার ফলে মনোবতর জীবন যাপন প্রায় সাড়ে ১২শ মটর শ্রমিকের

0

স্টাফ রিপোর্টার চৌগাছা (যশোর) ॥ করোনা ভাইরাসের কারনে এক মাসের বেশি সময় ধরে গনপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন চৌগাছার প্রায় সাড়ে ১২শ মটরশ্রমিক। প্রথম দিকে কিছুকিছু মালিক তাদের শ্রমিকদের সামান্য পরিমান সহযোগীতা করলেও বর্তমানে তা বন্ধ। আবার অনেক মালিক এখনও পর্যন্ত শ্রমিকদের কোন সাহায্য দেয়নি বলে জানান অনেকে। দিনের পর দিন কাজ না থাকায় শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর দিন পার করছেন। প্রায় এক মাস হল সারা দেশের মত যশোরের চৌগাছার সকল রুটে গণপরিবহন বন্ধ। এ সব পরিবহনের সাথে প্রায় সাড়ে ১২শ শ্রমিক জড়িত। বলাচলে দিন আনা দিন খাওয়া এই শ্রমিকরা ১ মাস ধরে ঘরে বসা। নেই তেমন কোন রোজগার, তাই পরিবার পরিজন নিয়ে দিনটা পার করাই যেন কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে একজন বাস চালকসহ বেশ কিছু শ্রমিককে দেখা গেছে বাজারের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী হাটে মাছ কিংবা সবজি বিক্রি করতে। এ থেকে যা রোজগার হচ্ছে তাই দিয়ে চলছে সংসার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চৌগাছায় যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা ৬৫, আছে বেশ কিছু ঢাকার পরিবহন। এই দ্ইু জায়গায় প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। এ ছাড়া ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহনে কর্মরত আছেন প্রায় সাড়ে ১২শ শ্রমিক। বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে সড়কে মাঝে মধ্যে ট্রাকের চাকা ঘুরলেও গত এক মাস ধরে সম্পূর্ণ ভাবে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। যার কারনে ট্রাকের শ্রমিকরা দু টাকা রোজগার করতে পারলেও কোন আয় নেই বাস শ্রমিকদের। মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এ সব শ্রমিকদের মধ্যে বড় একটি অংশের সমাজে রয়েছে বেশ পরিচিতি, যার কারনে তারা কারও নিকট পারছে না হাত পাততে, পারছে না সাহায্য নিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক জানান, কোন রোজগার না থাকায় সন্তানাদি নিয়ে যে অবস্থায় বেঁচে আছি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের খোঁজ কেউ নেইনি, পাইনি সরকারী বা ব্যক্তি উদ্যোগে দেয়া কোন অনুদান। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করছি। চৌগাছা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার শ্রমিক সংগঠনের যশোর জেলা কমিটি শ্রমিকদের একটি তালিকা চেয়েছিল, আমরা জমাও দিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেখান থেকে কোন খবর আসেনি। মালিক সমিতি কিংবা শ্রমিক সংস্থ্যার তেমন কোন তহবিলও নেই যে চরম অসহায় শ্রমিকদের পাশে সংগঠন দাঁড়াবে। আমরা বিভিন্ন ভাবে কিছু খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে তা অসহায় শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করেছি।