চৌগাছা সদ্য এমপিওভুক্ত তিন শতাধিক শিক্ষক কর্মচারীর পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

0

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছায় করোনা ভাইরাসে কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছেন সদ্য এমপিওভুক্ত হওয়া শিা প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক শিক-কর্মচারীর পরিবার। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর ২ হাজার ৭শ ৩০টি শিা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন সরকার। এ ঘোষণার মধ্যে এ উপজেলার ১২ টি শিা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক শিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘ দিন পর এসব প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হওয়ায় তারা নতুন আশায় বুক বাঁধেন। এদিকে প্রতিষ্ঠান এমপিও হলেও হাতে পাননি বেতন। আবার বোঝার উপর শাকের আটি করোনার কারণে এমপিওভুক্তির সকল কার্যাক্রম বন্ধ রয়েছে। তাই তারা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম ভাবে মানবতার জীবন যাপন করছেন।
জানা যায়, এমপিওভুক্তির আগে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকলকেই চৌগাছার ডিভাইন গ্রুপের প থেকে জনপ্রতি ৫/৬ হাজার টাকা সম্মানি দেয়া হতো। এমপিও ভুক্ত ঘোষনার পর সে অনুদান বন্ধ করে দেন ডিভাইন গ্রুপ। ফলে এ শিক্ষিত বেকার শিকরা মহা বিপাকে পড়েছেন। সদ্য এমপিওভুক্ত হওয়া পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক সুনিল কুমার খাঁ বলেন, আমরা দারুণ ভাবে অসহায় হয়ে পড়েছি। লাইনে দাঁড়ায়ে ত্রাণও নিতে পারছিনা। দুঃখের কথা কারো কাছে বলতেও পারছি না। ডিভাইন গ্রুপ যা দিতেন তাও বন্ধ এ যেন বোঝার উপর শাকের আটি। সবাই মনে করেন শিকরা ভালো আছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে কতো যে বাজে অবস্থায় আছি সে কথা কারো বলে বোঝান যাবে না। উনিশ বছর পরে কলেজটি এমপিও হলো আর এখনও বেতন পেলাম না। ত্রাণ বা মানবিক সাহায্য কোনটিই চাই না চাই বেতন। রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় থেকে ভূগোলে ¯œাতক ও ¯œাতোকোত্তর ডিগ্রী নেয়া সুনিল কুমার আরো বলেন, বেতন ছ্ড়াাই উনিশ বছর এ কলেজে আছি। সামনে আর মাত্র দশ এগারো বছর চাকরি আছে। এখনও বেতন পেলাম না দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা একটু আন্তরিক হতেন তাহলে হয়তো বেতন পাওয়া যেত।
জিসিবি আদর্শ কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ফারুখ আহমেদ বলেন, ৮ বছর বিনা বেতনে চাকরি করছি। ২০১৯ সালে এমপিও ঘোষনা হলেও বেতনের জন্য শিকদের তথ্য না নিয়ে আবার প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই বাছাইয় হচ্ছে। আসলে যারা এসব করছেন তাদের বেতনের তো কোন সমস্যা নেই। তাই তারা আমাদের দুঃখটা বোঝেন না। শুনেছি জুনের আগে যদি আমাদের ইনডেক্স না দেয়া হয় তাহলে এ বাজেটের বরাদ্দ টাকা ফেরত চলে যাবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি দেখবেন বলে দাবি করেন।
খলসি বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক ইতিমুদ্দৌলা বলেন, আরো আগেই যাচাই বাচাই কাজ শেষ হলে ভালো হতো। এখন করোনার মহামারিতে লকডাউনে পড়ে আমরা চরম বিপাকে আছি। আশা করি এ বিপর্যয় কেটে উঠলে এ ব্যাপারে কর্তৃপ সদয় বিবেচনা করবেন। ”আমরা সরকারের ত্রাণ চাই না, ত্রাণ দিতে চাই। উপজেলা শিা অফিসার আবুল কালাম রফিকুজ্জামান বলেন, এ সব শিকগণ ২০১৯ সালের জুন থেকে বকেয়া বেতনসহ পাবেন। করোনার কারণে সাময়িক বিলম্ব হচ্ছে। এ ব্যাপারে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই।