আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

পাকিস্তানে মসজিদে নামাজ নিয়ে বিপরীত অবস্থানে আলেম ও চিকিৎসকরা
লোকসমাজ ডেস্ক॥ পাকিস্তানের আলেম ও সংশ্লিষ্টরা দেশটিতে রমজান মাসে মসজিদে নামাজ আদায়ের অনুমোদন দিয়েছে। তবে দেশটির শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসকরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসকদের আশঙ্কা রমজানে সবাই মসজিদে সমবেত হলে করোনাভাইরাসের বিস্তার এতটাই বেড়ে যেতে পারে, যেটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ডা. কায়সার সাজ্জাদ বলেন, “দুর্ভাগ্যক্রমে, আমাদের শাসকরা একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে; আমাদের আলেমরা বিশ্বের করোনা পরিস্থিতিকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না।” দেশটিতে তারাবিহ নামাজের অনুমোদনে শর্ত দেওয়া হয়েছে- নামজিদের একজনের সঙ্গে আরেকজনের ছয় ফুট ব্যবধান রাখতে হবে। কিছুদিন আগেও মসজিদে জমায়েত নিয়ে কড়াকড়ি ছিল দেশটিতে। সম্প্রতি তা অনেকটা শিথিল হয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নমুনা পরীায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। এ দিকে রমজান উপলে সৌদি বাদশাহ মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্রতম মসজিদে তারাবিহ নামাজের অনুমতি দিয়েছে বলে রিয়াদ থেকে রয়টার্স জানিয়েছে। তবে সাধারণ নামাজিরা অংশ নিতে পারবেন না। এ ছাড়া সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে জারি করা কারফিউ সকাল ৯টা থেকে বিকলে পাঁচটা পর্যন্ত কিছুটা শিথিল থাকবে। তবে বিশ্বের বহু মুসলিশ দেশে সেই ছাড়টুকুও দেওয়া হচ্ছেনা। পাকিস্তানে এ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ সংক্রামিত হয়েছে এবং মারা গেছেন ২১২ জন। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮৩ হাজার ২৮৩ জনে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ লাখ ২৬ হাজার ৯২৯ জন। তবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ১০ হাজার ২৮৫ হাজার মানুষ।

নিউ ইয়র্কে দুই বিড়ালের কোভিড-১৯ পজিটিভ
লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্রে দুটি পোষা বিড়ালের দেহে নতুন করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। দেশটির নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পৃথক এলাকার এ দুটি বিড়াল মৃদু শ্বাসকষ্টে ভুগছে, তবে প্রাণী দুটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পোষা প্রাণী থেকে ভাইরাসটির মানুষের মাঝে ছড়ানোর কোনো প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপগুলো। বরং যে বাড়িতে বা যে এলাকায় তারা ছিল সেখানকার মানুষের মাধ্যমেই প্রাণী দুটি আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দৈনিক করোনাভাইরাস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস এর পরিচালক ড. অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন, “প্রাণী, পোষাপ্রাণীও আক্রান্ত হতে পারে। তবে পোষাপ্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ভাইরাস ছড়ানোর কোনো প্রমাণ নেই।” বিশ্বজুড়ে পোষাপ্রাণীদের কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার খুব বেশি ঘটনা নেই। আমেরিকান ভেটেরিনারি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, পরীায় হংকংয়ের একটি বিড়ালের কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেও কোনো লণ প্রকাশ পায়নি আর বেলজিয়ামের একটি বিড়াল অসুস্থ হওয়ার নয় দিন পর সুস্থ হয়েছিল। নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কস চিড়িয়াখানায় পাঁচটি বাঘ ও তিনটি সিংহের কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। তবে একটি বাঘের কোনো কাশির লণ প্রকাশ পায়নি বলে ভাষ্য চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধানে থাকা ওয়াইল্ডলাইফ কনসারভেইশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস)। “আমাদের পশুগুলো একজন কর্মীর মধ্যমে সংক্রমিত হয়েছিল, যিনি ভাইরাসটির বাহক ছিলেন অথবা যার লণ পরে প্রকাশ পেয়েছে,” বুধবার বলেছে ডব্লিউসিএস। “আটটি পশুই ভালো আছে। তাদের আচরণ স্বাভাবিক, ভালোভাবেই খাওয়াদাওয়া করছে। তাদের কাশি অনেক কমে গেছে।”

লকডাউন শেষে চীনজুড়ে রেস্টুরেন্টে ‘নকল’ মাংস!
লোকসমাজ ডেস্ক॥ লকডাউন শেষে চীনে রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফেগুলো খুলছে। তবে খাবারের দোকানগুলোর মেনুতে আনা হয়েছে পরিবর্তন। মাংসের মেনুতে নেই মাংস, এর বদলে দেয়া হচ্ছে উদ্ভিদজাত ‘নকল’ মাংস। বিবিসি জানায়, বুধবার স্টারবাকস ক্যাফের কয়েক হাজার আউটলেটে খাবারের মেনুতে ছিল এক ধরনের উদ্ভিদজাত মাংস। প্রাণিজ মাংসের পরিহার করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টারবাকস। ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি আগামী সপ্তাহ থেকে উদ্ভিদজাত ‘চিকেন নাগেটের’ ট্রায়াল শুরু করবে বলে জানিয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাব পরবর্তী অনেক মানুষ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের দিকে ঝুঁকছে। খাবারের তালিকা থেকে মাংস পরিহারের প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মাংসের মেনুতে মাংসের বদলে দেয়া হচ্ছে উদ্ভিদ। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে কভিড-১৯। দেশটিতে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৬ জন ব্যক্তি। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৮৪ হাজার জন। তবে বিশ্বেজুড়ে করোনার আগ্রাসী সংক্রমণ না থামলেও চীনে এখন প্রাদুর্ভাব নেই বললেই চলে। লকডাউন শেষে স্বাভাবিক ব্যস্ততায় ফিরে আসছে শহরগুলো।