বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের অপমান করে এ কী বললেন শামি!

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ইডেন গার্ডেনে সেই দিবারাত্রির টেস্টটির কথা মনে আছে? গত বছরের নভেম্বরে গোলাপি বলের টেস্টে ভারতের কাছে রীতিমত নাকানি চুবানি খেয়েছিল বাংলাদেশ। হেরেছিল এক ইনিংস এবং ৪৬ রানের ব্যবধানে। ওই টেস্টটি নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও অনেক কথা হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অনুরোধে বলতে গেলে ঢেঁকি গিলেছিল বাংলাদেশ। টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচে দিনে খেললে বেশি দর্শক হবে না, এই অজুহাতে টেস্টটি দিবারাত্রির আয়োজনে প্রস্তাব দেয় বিসিসিআই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি) ‘না’ বলার সাধ্য ছিল না। এমনিতে কখনই দিবারাত্রির টেস্টে গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। তার ওপর আগেভাগে না জানায় প্রস্তুতিটাও সেভাবে হয়নি। কিন্তু হারের পর কেউ তো আর অজুহাত শুনতে চায় না। দুর্নাম যা হওয়ার হয়েই যায়। না হয় মোহাম্মদ শামি কি এভাবে অপমান করতে পারতেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের? ইডেনে ওই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট নিলেও পরের ইনিংসে পাঁচের ওপর রান খরচা করে উইকেটের দেখা পাননি। তবে বাউন্সারে টাইগার ব্যাটসম্যানদের নাকাল করেছিলেন, সেটি নিয়েই এতদিন পর কথা।
ইনস্টাগ্রাম লাইভে ভারতীয় ব্যাটসম্যান মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে গোলাপি বল নিয়ে কথা বলছিলেন শামি। এক পর্যায়ে তিনি টেনে আনেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ইডেন টেস্টের প্রসঙ্গ। শামি বলেন, ‘সত্যি করে বলতে গোলাপি বলে কি আছে আমি বুঝতে পারছিলাম না। ম্যাচটা বিকেলের দিকে শুরু হয়। প্রথম দিকে বলে বাড়তি কোনো সুবিধা পাওয়া যায় না। যখন আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্টটি খেলি, খেলা ছিল এসজি বলে। বলটাতে আলাদা একটা অনুভূতি হচ্ছিল, আমরা বুঝতে পারছিলাম না, কখন এটা ম্যুভ বা সুইং করবে।’ ভারতীয় পেসার যোগ করেন, ‘যখন আমি আক্রমণে আসি, সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম শর্ট বল করব। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, টানা শর্ট বল দিলে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা অহেতুক ভয় পায়। এটা বলতে আমার দ্বিধা নেই। যা বলার তা তো বলতেই হবে।’ ওই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভারতীয় তিন পেসার ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব আর মোহাম্মদ শামি মিলেই তুলে নেন টাইগারদের ১০ উইকেট। বাংলাদেশ অলআউট হয় ১০৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ইশান্ত আর উমেশ মিলেই শেষ করে দেন সফরকারিদের। বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৯৬ রানে। প্রস্তুতির ঘাটতিটা স্পষ্ট ছিল। লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুনদের তাই বাউন্সার দিয়ে সহজেই নাকাল করতে পেরেছেন ইশান্ত, শামিরা। তাই তো এতদিন পরও সেই স্মৃতি আওরাতে গিয়ে শামির এমন তাচ্ছিল্য।