বাঘারপাড়ায় ধানে চিটা, কৃষকের মাথায় হাত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খানপুর গ্রামের কৃষক অনিসুর রহমান এ বছর দেড় বিঘা জমিতে ৮১ জাতের হাইব্রিড ধান আবাদ করেছিলেন। আর অল্প কিছুদিনের মধ‌্যেই সোনার ফসল ঘরে তোলার কথা। এমন সময় দেখতে পান তার ক্ষেতের সব ধান শুকিয়ে গেছে। দূর থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই। তবে কাছ থেকে পরখ করে দেখলেই জানা যাবে কী ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন কৃষক আনিসুর। অজানা এক রোগের আক্রমণে তার ক্ষেতের ধান চিটায় পরিণত হয়েছে। শুধু কৃষক আনিসুর রহমান নয়, একই এলাকার কৃষক সামছুর রহমান, বারিক তরফদার, নুর ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, গোলাম রহমান ও সোহেল বিশ্বাসসহ আরো কয়েকজন কৃষকের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ধান চিটায় পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাতুয়াকুড়ের বিলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ধানের শীষ সাদা হয়ে চিটায় পরিণত হয়েছে। তবে শীষের গোড়ায় পচন লক্ষ্য করা যায়নি। শুধুমাত্র হাইব্রিড- ৮১ জাতের ধানে দেখা দিয়েছে এই অজানা রোগ। কৃষক নুর ইসলাম তরফদার বলেন, ‘আমার দেড় বিঘা জমিতে ৮১ জাতের ধান চাষ করেছি। ধানের বাড়ন্ত গাছ দেখে মনে হয়েছিল এবার ধানের ব্যাপক ফলন হবে। কিন্তু কপালে নেই।’
ক্ষেত্রপালা গ্রামের কৃষক সোহেল রানা বলেন, ‘আমি এক বিঘা জমিতে ৮১ জাতের ধান চাষ করেছি। পুরো জমির ধানের শীষ সাদা হয়ে শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে।’ নারিকেলবাড়িয়া ব্লকে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকরী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, ‘কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে থাকি। কখনো কখনো তারা পরামর্শ না শুনে ইচ্ছামতো ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। ট্রপার ও নাটিভো ওষুধ দেওয়ার পরামর্শ দিলেও তারা জমিতে অন্য ওষুধ স্প্রে করেছেন। সেকারণে ধান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’ তিনি জানান, বাঘারপাড়া উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হাজার হেক্টর আবাদ বেশি হয়েছে। উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় জমির ধান এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আব্দুল করিম। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম বলেন, ‘আমি নিয়মিত মাঠে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলি। এ ধরনের সমস্যা কয়েকটি জায়গায় সীমিত পরিমাণে হয়েছে বলে জেনেছি।’