ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীকে যা বললেন গাজীপুরের এসপি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা চিকিৎসক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা বিভাগের চার ও ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন তিনি। এসময় গাজীপুরে করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গার্মেন্ট শিল্প চালুকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার।
লকডাউন নিশ্চিত করতে গিয়ে গাজীপুর জেলা নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার বলেন, ‘যে কারখানাগুলো খোলা রয়েছে তারা কোনোরকম স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। চাকরি টিকিয়ে রাখতে মেয়েরা একহাতে কোলের বাচ্চা আরেক হাতে ব্যাগ নিয়ে আসছে। আমরা অনেক উদার মালিক দেখেছি। যারা মার্চ মাসেই দুই মাসের বেতন দিয়ে দিয়েছেন। আবার এখনও অনেক মালিক রয়েছেন যারা বেতন দেবেন বলে শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে আসছেন। কিন্তু বেতন দিতে পারছেন না। এটা লকডাউন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অনেক বড় অন্তরায়। আমাদের এটা নিয়ে ভাবতে হবে।’ যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধের মধ্যে গার্মেন্ট শ্রমিক আসায় গাজীপুর বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে এমনটা জানিয়ে এসপি বলেন, ‘প্রথমদিকে গাজীপুরের অবস্থা অনেক ভালো ছিল। হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করে আমরা অনেক ভালো রেখেছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয়বার গার্মেন্ট খুলে দেওয়ার পর শ্রমিকরা আসতে শুরু করলো তখন নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় ২৫ জন করোনা শনাক্ত হলো। আমাদের জেলাটিও এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। আবার যদি শ্রমিকরা এভাবে আসা-যাওয়া করেন, তাহলে বেগ পেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে যারা ফ্যাক্টরিতে কাজ করছেন তাদের নিরাপদ রাখতে সুনির্দিষ্টভাবে আপনার দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। আর গাজীপুরে অনেক ভাসমান মানুষ রয়েছেন। তাদের ঘরে রাখতে হলে অবশ্যই ত্রাণ সঠিকভাবে বিতরণ করতে হবে।’ গার্মেন্ট কারখানার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে অভিযোগ তুলে পুলিশ সুপার বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী কিন্তু সুযোগ নিচ্ছেন। পিপিই বানানোর কথা বলে শ্রমিকদের ডেকে এনে অন্য পণ্য বানাচ্ছেন। তারা শ্রমিকদের ঠকাচ্ছেন।’