‘সব সুরক্ষা সামগ্রীর মান যাচাই করেই সরবরাহ করা হয়েছে’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ স্বাস্থ্য খাতের সরকারি ক্রয় প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরেজ ডিপোর (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল্লাহ বলেছেন, মাস্ক বিষয়ে বিভ্রান্তি এবং বানোয়াট তথ্য পরিবেশন না করে সরাসরি সিএমএসডিকে জানাতে। তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, এখনও পর্যন্ত আমরা যা সরবরাহ করেছি, এগুলোর মান যাচাই করেই সরবরাহ করছি।’ সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য বুলেটিনের অনলাইনে একথা জানান তিনি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সিএমএসডি থেকে আমরা যেসব সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে থাকি, সেগুলো একটি পর্ষদের মাধ্যমে মান যাচাই করে দিয়ে থাকি। এরসঙ্গে যে মূল্য সেটাও আমরা নির্ধারণ করে থাকি। ক্রয় প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ওষুধাগারে আমাদের নিজস্ব কমিটি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে কোনও সরবরাহকৃত দ্রব্য কোনও পর্যায় পৌঁছানোর পর ব্যবহারকারীরা আমাদের সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন। আমি অনুরোধ জানাবো, মাস্ক বিষয়ে বিভ্রান্ত না ছড়িয়ে, বানোয়াট তথ্য প্রকাশ না করে সরাসরি আমাদের জানান। আমরা নিশ্চয়ই সেগুলার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে যে পরিমাণ পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সংগ্রহ করা হয়েছে, তাতে সরকারের আনুমানিক ১৭৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এছাড়া বিতরণেও ৭-৮ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। আমাদের বুঝতে হবে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতেই সরকার আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। এই দুর্যোগ মোকাবিলা আমরা সবাই মিলেই করতে চাই। আসুন, আমরা কোনও ধরনের বানোয়াট এবং মিথ্যা তথ্য প্রকাশ না করি। কোনও সন্দেহ থাকলে আপনারা সিএমএসডি’র সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা একজন আরেকজনের প্রতি দোষারোপ না করে, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য অনুরোধ করবো।’ এসময় তিনি বলেন, ‘সিএমএসডি’র পক্ষ থেকে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে কিংবা নিয়ন্ত্রণবিহীন মাস্ক ক্রয় করেও সরবরাহ করার সুযোগ নেই। যখনই সরবরাহকৃত সামগ্রী নিয়ে অভিযোগ উত্থাপিত হয়, তখনই আমরা সরবরাহকৃত কোম্পানির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’ এসময় তিনি জানান, এপর্যন্ত ক্রয় করা প্রায় ১৪ লাখ পিপিই’র ৭০ ভাগ দেশে তৈরি এবং ৩০ শতাংশ চীন থেকে আমদানি করা।