লোহাগড়ায় করোনার প্রভাব বিস্তার রোধে গ্রাম পাহারা দিচ্ছে যুবকরা

0

শিমুল হাসান, লোহাগড়া (নড়াইল) ॥ লোহাগড়া পৌরসভায় গত সোমবার প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় প্রশাসন চারটি গ্রামকে সম্পূর্ণরূপে লকডাউন ঘোষনা করেছে। গ্রামগুলো হলো পারছাতড়া, ছাতড়া, নারানদিয়া, জয়পুর পূর্বপাড়া। এরপর থেকেই স্থানীয় যুবকরা নিজ উদ্যোগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছে। সূত্র জানায়, জয়পুর ইউনিয়নের পারছাতড়া গ্রামের সৈয়দ আশরাফ আলীর ছেলে সৈয়দ সুজন(২৪)করোনায় আক্রান্ত হন। অবশ্য স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সুজন অনেকটাই সুস্থ আছেন।
এদিকে, গত রবিবার লোহাগড়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের রাজুপুর গ্রামে করোনা রোগীর সংস্পর্শে থাকা ২টি বাড়িতে লাল পতাকা টানানোসহ মোট ৬ বাড়ি লকডাউন করে প্রশাসন। সূত্র জানায়, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বাহিরপাড়া গ্রামের মৃত কাজী হাবিবুর রহমানের ছেলে মমিনুর রহমান পিটু ঢাকা থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজুপুর গ্রামে আত্মীয়-স্বজন বাড়িতে আশ্রয় নেয়। লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) রাখী ব্যানার্জী রাজুপুর গ্রামের আকতার হোসেনের দোকানসহ বাড়ি এবং শালনগর ইউনিয়নের বাতাসী গ্রামের বাসিন্দা ইশা খান ঢাকা থেকে এসে রাজুপুর গ্রামে তার শ^শুর শফিকুর রহমানের বাড়িতে অবস্থান করায় সে বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন করেন। রাজুপুর গ্রামে করোনার প্রভাব বিস্তার রোধে প্রশাসনের পাশাপাশি গ্রামের যুবকরা গ্রামে প্রবেশের প্রতিটি রাস্তায় বেড়া দিয়ে জনসাধারণের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করছে। যুবকরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তা পাহারা দিচ্ছে যাতে করে অন্য এলাকার লোক বা জেলার বাহিরে থাকা লোক প্রবেশ করতে না পারে। রাজুপুর গ্রামের যুবক শাহেদ মাহমুদ, রুবেল, সাগর, সুজন, ফেরদাউস, হায়াতুর, কোবরা, নাহিদ বলেন, আমরা সচেতন। তাই স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে গ্রাম পাহারা দিচ্ছি। কিছুতেই গ্রামে করোনার বিস্তার করতে দেবো না। এস,আই মিল্টন কুমার দেবদাস বলেন, বেশিরভাগ গ্রামের যুবকরাই এখন সচেতন। তারা প্রশাসনের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজ নিজ গ্রাম পাহারা দিচ্ছে। অন্য জেলার বা অন্য গ্রামের লোকের অযথা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে যুবকরা।