বেনাপোলে অধিকাংশ ব্যাংক বন্ধ থাকায় বন্দরে আটকা পড়েছে আমদানি পণ্য

0

মনিরুল ইসলাম মনি, শার্শা (যশোর) ॥ বেনাপোলে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। টাকার অভাবে পণ্য খালাস নিতে পেরে বন্দরে আটকা পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। কাস্টমস, বন্দর খোলা থাকলেও ব্যাংক বন্ধ থাকায় আমদানিকারকরা টাকার অভাবে বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে পারছেন না। ফলে গোটা ব্যবসায়ী মহলে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও উওেজনা।
বেনাপোল বন্দর এলাকায় মোট ১৮টি ব্যাংক আছে। অধিকাংশ ব্যাংকগুলো বন্ধ রয়েছে। সরকার যেখানে বেনাপোল বন্দর সচল রাখতে সাত দিনে ২৪ঘন্টা খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন, সেখানে ব্যাংক বন্ধ থাকায় হতবাক করেছে ব্যবসায়ীদের। শুধুমাত্র খোলা রয়েছে সোনালী,জনতা,অগ্রণী ও ইসলামী ব্যাংক। এ ব্যাংক গুলো করোনাভাইরাসের মধ্যেও গ্রাহক সেবা অব্যাহত রেখেছে। করোনার মধ্যে দেশের সব বন্দর এলাকায় প্রতিদিন ব্যাংক ৩ ঘন্টা খোলা রয়েছে সরকারি নির্দেশে। শুধু বেনাপেল বন্দরের ব্যাংকগুলোই পালন করছে ব্যতিক্রমী ভূমিকা। প্রতিদিন শুধুমাত্র বেনাপোল সোনালী ব্যাংকেই ৩০/৪০ কোটি টাকার ট্রানজেকশন হয়ে থাকে। সরকার প্রতিদিন আমদানি রফতানি খাত থেকে ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে বেনাপোল থেকে। করোনার মধ্যেও বেনাপোল বন্দর থেকে প্রতিনিয়ত খালাস হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। শুধুমাত্র ব্যাংক ব›ধ থাকায় আমদানিকারকরা বেনাপোলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারছেন না। ফলে সম্ভব হচেছ না বন্দর থেকে পণ্য খালাস নেওয়া।
বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার এ আর এম রকিবুল হাসান জানান, করোনার মধ্যেও আমরা সপ্তাহে ৫ দিন ব্যাংক খোলা রেখে গ্রাহকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে অন্যান্য ব্যাংকগুলো কেন বন্ধ রাখা হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। বন্দর এলাকার ব্যাংকগুলো খোলা রাখা উচিত দেশের স্বার্থে।
বেনাপোল পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজার রিপন কুমার জানান, আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা ব্যাংক বন্ধ রেখেছি। গ্রাহকদের অসুবিধা হলে আমাদের কিছুই করার নেই। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ মফিজুর রহমান সজন জানান, সরকার বেনাপোল বন্দর থেকে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকে। করোনার কারণে বেনাপোলে অধিকাংশ ব্যাংক ব›ধ থাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা বন্দর থকে পণ্য খালাস করতে পারছি না। সরকার যেখানে বেনাপোল বন্দরকে সপ্তাহে ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে, সেখানে ব্যাংকগুলো কিভাবে ইচ্ছেমত বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছে সেটা বোধগম্য নয়। অবিলম্বে সব ব্যাংক খুলে দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।