এককভাবে ত্রাণ দিতে পারবেন না দিঘলিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ মোল্লা

0

খুলনা ব্যুরো ॥ খুলনার দিঘলিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মোল্লার বিরুদ্ধে ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ত্রাণের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তার অনিয়মের বিষয়টি উঠে এসেছে। এদিকে, তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্য ও তদারক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। একই সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ মোল্লা তার একক ক্ষমতায় একতরফাভাবে ত্রাণ দিতে পারবেন না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে রবিবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘খুলনার দিঘলিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ মোল্লার বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল বিতরণে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে তাকে এককভাবে ত্রাণ বিতরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্য ও তদারক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলা ট্যাগ অফিসার অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তাই বিষয়টি তদারকি করবেন। এ নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মোল্লা ‘গ্রাম উন্নয়ন সমিতির নামে নিজস্ব কিছু লোকের মধ্যে সরকারি চাল বিতরণ করে বাকি চাল আত্মসাতের পরিকল্পনা করছেন- মর্মে ইউপির ৯ সদস্যের মধ্যে ৭ জনই গত ৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগকারীরা হলেন, ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবিএম আতিকুল ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আজিজুর রহমান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোল্লা হারুন-অর-রশীদ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খান বিপ্লব হোসেন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য হাফিজা খাতুন ও রিনা পারভীন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পরদিনই তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন এবং সদস্য ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মো. বদিউজ্জামান ও দিঘলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিপংকর দাস। তদন্ত কমিটি বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে সরেজমিনে গোডাউন পরিদর্শন করেন এবং অভিযোগকারী ও অভিযুক্তসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য রেকর্ড করেন। তদন্তে চাল বিতরণের সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘনসহ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা জানান তদন্ত কমিটির প্রধান মো. ইকবাল হোসেন।